সর্বশেষ সংবাদ :

সদর আসনে ১৩ প্রার্থী : এবার বাদশাকে ছাড় দিবেনা স্থানীয় আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে এবার ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এবার ভোটের লাড়াইটা ভালোই জমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও তাদের দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজা উন-নবী আল মামুন, বিএনএম এর প্রার্থী কামরুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. শামীম, মুক্তিজোট প্রার্থী ইয়াসির আলিফ বিন হাবিব, গণফ্রন্ট প্রার্থী মনিরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির নেতা শাহাবুদ্দিন বাচ্চু ও বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মারুফ শাহরিয়ার।
এদের মধ্যে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকি নয়জন দলীয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। এরা হলেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহামান বাদশা, এ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ ও রেজাউন-নবী আল মামুন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা শাহাবুদ্দিন বাচ্চু।
রাজশাহী সদর আসনে ক্ষমতাসীনদের জোটের প্রার্থী হিসেবে টানা তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এবারও তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তিনি এবারও জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক চান।
কিন্তু এবার এ আসনটি কোনভাবেই ছাড়তে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ আসন থেকে এবার দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধ মোহাম্মদ আলী কামাল। তাকে নিয়ে ভোটের মাঠে নামতে চান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা। কেন্দ্রের নির্দেশে তাকে যদি ছাড় দিতে হয় তবে স্থানীয় নেতারা ভোটে থাকবেন বিদ্রোহী নিয়ে।
তবে তিনি ছাড়াও এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ ও রেজাউন-নবী আল মামুন।
মহানগর আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, জোটের প্রার্থী হিসেবে যদি নৌকা প্রতীক ফজলে হোসেন বাদশাকে ছেড়ে দিতে হয় তবে আওয়ামী লীগের তিনজনের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে যাবেন। সে ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা স্বাতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন বলে দাবি করেছে সূত্রটি।
রাজশাহী-২ আসনে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হন। এর পর আরও ১০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে কোন প্রার্থী এমপি হতে পারেননি। তবে ২০০৮ সালে প্রথমবার নৌকার প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। এর পর টানা তিনবার তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ | সময়: ৫:২১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ