১শ ‘ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার মিলছে হিলিতে

হিলি প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হিলিতে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি। বর্তমানে ১০০ টাকায় ব্যাগভর্তি সবজি কেনা যাচ্ছে; বিগত সময়ে ৫০০ টাকার সবজি কিনেও ব্যাগ ভরেনি। এতে খুশি সবজি কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতারা। তবে হঠাৎ এভাবে দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) হিলি সবজি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা সবজির দোকানে ডালিভর্তি হরেক রকমের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। প্রতিটা দোকানে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। এ বিষয়ে সবজি বাজারে কথা হয় ক্রেতা আক্কাস আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমানে হিলি বাজার সবজিতে ভরপুর। দামও আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা কম; যে কারণেই অনেক সবজি কিনলাম। এক ব্যাগ সবজি ১০০ টাকা দিয়ে ভরে গেল; বিগত সময়ে ৫০০ টাকার সবজি কিনেও ব্যাগ ভরেনি।আরেকজন ক্রেতা শফিক বলেন, বেগুন ২০ টাকা কেজি, মুলা ১০ , সিম ৪০, ফুল কপি ৩০, বাঁধাকপি ২৫, পটল ২৫ ও কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজিতে নিয়েছি। এভাবে যদি দাম থাকে তাহলে তো আমাদের জন্য অনেকটা সুবিধা।

 

 

 

 

 

 

 

বাজারে সবজির দোকানদার বুলবুল মিঁয়া বলেন, বর্তমানে সবজি দাম অনেকটা কম; যে কারণেই বেচা-বিক্রি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে বেগুন বিক্রি হতো এক মণ; এখন পাঁচ থেকে ছয় মণ বিক্রি হচ্ছে। এভাবে প্রতিটা সবজিই মণে মণে বিক্রি হচ্ছে।আরেক সবজি দোকানদার শাহীন বলেন, এইসব সবজি আগে আমরা বগুড়া মহাস্থানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আনতাম; এখন এসব সবজি আসছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বিরামপুর,পাঁচবিবিসহ আশপাশে থেকে। এবার শীতকালীন আগাম সবজি অনেক আবাদ হয়েছে; দামও অনেক কম। যে কারণে আমরা প্রতিদিন বস্তায় বস্তায় সবজি আনছি। আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০০ টাকা লাভ করা খুব কষ্ট হতো; এখন আমদানি বেড়েছে লাভ ও বেশি হচ্ছে।হিলির বাজারে কথা হয় কৃষক আব্দুল ছালামের সঙ্গে; তিনি বলেন, আমরা যে সবজি আবাদ করেছি ভেবেছিলাম এবার পর্যাপ্ত লাভ হবে; কিন্তু গায়ে-গায়ে সমান। যে দামে বিক্রি করছি তাতে লাভ খুব একটা হবে না। কারণ অবরোধের কারণে বাহির থেকে সবজির পাইকাররা কম আসছেন। যে কারণে সবজিগুলো আমাদের লোকাল বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেগুন পাইকারিভাবে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে মুলায় ০৮টাকা, সিম ৩০ টাকা- এভাবে যদি দাম কমে তাহলে কয় টাকা লাভ হবে?

 

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাম্মদ আরজেনা বেগম বলেন, সরকারে নানা পদক্ষেপে ইতিমধ্যে কৃষিতে ব্যাপক সফলতা এসেছে। বিভিন্ন সময় কৃষকদের বীজ সার প্রণোদনাসহ নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা সফলতা পেয়েছি। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এগুলো বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৩ | সময়: ৮:১৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine