সর্বশেষ সংবাদ :

রাবির জিয়া হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩। আগামী শুক্র ও শনি এবং পরের সপ্তাহের শুক্র ও শনিবারে দুই ধাপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে তথ্যটি জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন।
হলসূত্রে জানা গেছে, চারদিনের এই প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় থাকবে ক্যারাম (একক ও দ্বৈত), টেবিল টেনিস (একক ও দ্বৈত), তাস এবং দাবা খেলা। এছাড়া পরের ধাপের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে রবীন্দ্র, নজরুল ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীত। এ ধাপে আরও আছে আবৃতি, কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, উপস্থিত অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত হলসমূহে এ ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই হলের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকচর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনেকে আবেদনও সম্পূর্ণ করেছেন। এর মধ্যে খেলাধূলার জন্য ১০৬ টি এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার জন্য ৫৬টি আবেদন জমা পরেছে। আশা করি, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হলের অনেক শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভাগুলো বিকশিত হবে এবং পরবর্তীতে তারা এখান থেকে আরও বড় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুপ্রেরণা পাবে।
উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে বসে মতবিনিময় করেছেন। আমরা চাই হলগুলোতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটা আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরণের নির্দেশনা হলসমূহে দেয়া আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, অনেকে বলতে পারে এটা অতিরিক্ত শিক্ষামূলক কার্যক্রম, তবে আমি মনে করি এটা শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত। এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে অনেকের সামনে কথা বলার দক্ষতা বাড়ে এবং শিক্ষার্থীদের ফেসবুকের বাইরেও পড়াশোনা করে নিজেকে শানিত করার প্রচেষ্ঠা থাকে। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তৃতা, বির্তক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের পথ প্রশস্থ হয়। হলগুলো হল শিক্ষার্থীদের একটা হাব। এখানে তারা ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে অধিকাংশ সময় কাটায়। হলগুলোকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত এবং একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে এ ধরণের অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ এ ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। এ ধরণের কর্মকাণ্ডগুলোতে যত বেশি শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে, তত বেশি আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক এবং শিক্ষায়তনিক বিকাশের পথ উন্মক্ত হবে।


প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৩ | সময়: ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ