বাঘায় পদ্মায় মাছ ছাড়া কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে বেসরকারীর একটি কোম্পানির কর্মচারী লিখন হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে পদ্মায় মাছ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। লিখন হোসেন উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে বলে জানা।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের নিচে (মরা) পদ্মার জলাশয়ে মাছ ছাড়ে লিখন (৩৪) সহ তার পরিবার। একই গ্রামের বাচ্চু হোসেনের ছেলে নাসিফ হোসেন (৩৫) নিজের দাবি করে মাছ চাষে বাধা দেয়।
এ নিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে লিখন হোসেনের বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আগের দিনের জের ধরে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে প্রতিপক্ষ নাফিজ তাকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা লিখনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লিখনের মা’ হাসেনা বেগম বলেন, আমার ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে। রবিবার ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছে। প্রতিবেশি বাচ্চুর ছেলে নাসিফ হোসেনের সাথে সোমবার দুপুরে পদ্মা নদীর ধারে কথা কাটা-কাটি হয়। এর জের ধরে বাড়ির পাশে একা পেয়ে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে সে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কিশোরপুর গ্রামের আবদুর কাদের মোল্লা বলেন, তারা পরস্পর প্রতিবেশি। লিখন হোসেনের কোন জমি নেই। সে পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় কিছু জলাশয় হয়েছে। সেখানে কিছুদিন আগে মাছ ছেড়েছে।
অপরদিকে পদ্মার ধারে নাসিফ হোসেনের জমি দাবি করে সে জলাশয়ে মাছ চাষ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরদিন খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে নাফিজ-লিখনকে হত্যা করেছে।
বাঘা থানার ওসি তদন্ত সবুজ রানা বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নাফিজকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৩ | সময়: ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ