বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জায়গায় গড়ে উঠেছে আ’লীগের দলীয় কার্যালয়

স্টাফ রিপোর্টার বাঘা  :
রাজনৈতিক সংগঠন পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক কার্যালয়(অফিস)থাকা খুবই জরুরী। এদিক থেকে লক্ষনীয় দেশের অনেক সংগঠন তাদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভাড়া ঘর বেছে নিয়েছেন। তবে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার চিত্র একেবারে ভিন্ন। এ দুই উপজেলায় আ’লীগ মনোনীত স্থানীয় সংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিজ অর্থায়নে কেনা জায়গার উপর বাঘা উপজেলা সদরে একটি বিশাল দলীয় কার্যালয় চালু করেছেন। অপর দিকে চারঘাটে জমি কেনা হয়েছে। সেখানেও খুব শির্ঘই একটি অফিস উদ্বোধন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চারঘাট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম।

 

 

 

 

 

 

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা জানান ,স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এ কাজটি করে প্রশংশীত হয়েছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।এর ফলে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে সংঘবদ্ধ ও গতিশীল হয়েছে উপজেলা আ’লীগের রাজনীতি ও দলীয় কর্যক্রম ।তাঁরা বলেন, বিগত সময়ে আমাদের বসার কোন জায়গা ছিলনা। দলীয় কোন বর্ধিত সভা করতে হলে স্কুল অথবা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘর চাইতে হতো। এ দিক থেকে বর্তমানে যে অফিস চালু করা হয়েছে এখানে শধু আওয়ামী লীগের অফিসই হয়নি, পাশে তৈরী হয়েছে সহযোগী আরো পাঁচটি সংগঠনের অফিস। এর ফলে কেন্দ্র ঘোষিত জাতীয় এবং দলীয় কর্মসুচী বাস্তবায়নে আমরা পৃথক-পৃথক পতাকা উত্তোলন সহ অনায়াসে একটি প্রোগ্রাম করতে পারি।

বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে নাগরিকদের এমন একটি দল যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠন করার উদ্দেশ্যে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়। দলটি সমষ্টিগত কল্যাণ কিংবা তাদের সমর্থকদের চাহিদা অনুযায়ী কিছু প্রস্তাবিত নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐকমত্য পোষণ করে। তাঁর মতে,আন্তর্জাতিক ভাবে রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও পরিচালনা পদ্ধতিতে কিছু মিল থাকলেও অনেক ভিন্নতা ও দেখা যায়, এর মধ্যে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ভিন্নতা ও রয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের একটি মূল ভাবাদর্শ থাকে কিন্তু-কিছু রাজনৈতিক দলের থাকে না , আবার কিছু রাজনৈতিক দলের ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠাকালীন ভাবাদর্শ থেকে অনেকটাই ভিন্ন হয়ে যায়।

 

 

 

 

 

 

তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে নির্বাচক মণ্ডলী সরকার পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচন করে। আর এসব কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একটি নিজেস্ব কার্যালয় থাকা দরকার। যেটি ক্রয় সূত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় করে দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নেতা শাহরিয়ার আলম। তিনি উপজেলা সদরে প্রায় দেড় বিঘা জমির উপরে এতো বড় এইটি জায়গা কিনে অফিস করবেন এটা স্বপ্নেও ভাবিনি। এই অফিসের পাশে রয়েছে একটি নামাজঘর-সহ আওয়ামী সহযোগী আরো পাঁচটি সংগঠন পৃথক পৃথক অফিস ।এ জন্য আমি সহ-বাঘার দলীয় সকল নেতা-কর্মীরা শাহরিয়ার আলমের প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

 

এদিকে চারঘাট উপজেলা আলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বলেন, ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বিকালে ঢাকার কে.এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় নতুন একটি রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। এরপর তাদের শাসন ও উৎপিড়ন থেকে বাঁচতে পরবর্তীতে সেই দলের নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ । ১৯৭০ সাল থেকে এই দলটির নির্বাচনী প্রতীক হয় নৌকা। এই দলটির নেতৃত্বদেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর সুযোগ্য কন্যা তাঁর পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে একের-পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধান মন্ত্রীর পাশা-পাশি কাজ করে যাচ্ছেন চারঘাট-বাঘা থেকে তিন-তিনবার নির্বাচিত সংসদ ও দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি নানামুখী উন্নয়নের পাশা-পাশি চারঘাট সদরে দলীয় কার্যালয় করার জন্য আমাকে একটি জায়গা দেখার কথা বলে ছিলেন। অবশেষে একটি জায়গা পাওয়ার পর ইতোমধ্যে প্রিয় নেতা শাহরিয়ার আলম সেটি ক্রয় করেছেন। তিনি কথা দিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে চারঘাট উপজেলায় দলীয় কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করবেন।

ফকরুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা যে সংগঠনের রাজনীতিই করিনা কেন। সংগঠন পরিচালনার জন্য দলীয় কার্যালয়ের কোন কিকল্প নেই। এ দিক থেকে বিগত সময় চারঘাট-বাঘায় অনেক ব্যক্তি এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। তবে তারা কেউ নিজ অর্থায়নে অফিস চালু করার জন্য জমি কিনে দেননি। যেটি করেছেন আমাদের অভিভাবক ও প্রিয় নেতা শাহরিয়ার আলম।তিনি বাঘায় পাঁচ বছর পূর্বে দলের নিজেস্ব কার্যালয় চালু করে দিয়েছেন। আমরা জমি না পাওয়ার জন্য এতদিন করতে পারিনি।ইনশাল্লাহ আমাদের অফিসের কাজও খুব শীর্ঘই শুরু হবে।

 

 

 

 

 

 

তিনি বলেন, শাহরিয়ার আলমের ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতার কারনে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে চারঘাট-বাঘায় এখন আওয়ামীলীগ শক্তিশালী। প্ররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সব সময় একটি কথা বলে, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন চারঘাট-বাঘার মানুষের পাশে থাকবেন। আমার আত্নবিশ্বাস বিগত ১৫ বছরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন তার ফলোশ্রুতিতে এ অঞ্চলের মানুষ আবার ও তাকেই বিজয়ী করবেন।

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩ | সময়: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine