নিয়ামতপুরের কৃষি ও পাইকারীপণ্য বিপননকেন্দ্র এখন ভাগাড়

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরের প্রাণ কেন্দ্র কাঁচা বাজারে অবস্থিত কৃষি পণ্য ও পাইকারী পণ্য বিপনন কেন্দ্র এখন ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। কৃষি পণ্য ও পাইকারী পণ্য বিপনন কেন্দ্রের নিচতলা ময়লার স্তুপে পরিনত হয়েছে। পরিবেশ দূষনের ফলে আশ-পাশের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। হুমকির মুখে পরছে কাঁচা বাজারের পরিবেশ।
কাঁচা বাজারের ময়লা আবর্জনা পরিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ঐ বিপনন কেন্দ্রে ফেলে ময়লার স্তুপ করে ফেলেছে। ময়লা স্তুপ থাকার ফলে আশপাশের সাধারণ মানুষের বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই অবস্থায় আছে। হাট কমিটিকে বার বার বলার পরেও কোন কাজ হয়নি। যদি হাট কমিটির দায়িত্ব রয়েছে হাট পরিস্কার রাখা। অথচ পরিস্কার রাখার কোন দায়িত্বই হাট কমিটি পালন করেন না। স্থানীয়দের দাবি ময়লাফেলার স্থান অনত্র সরিয়ে নিতে, যাতে সুস্থ থাকতে পারে আশপাশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সাথে সুরক্ষা থাকবে পরিবশে।
এলাকাবাসীর দাবি যত দ্রুতত সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যেনো কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা। ইতি মধ্যে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে নিয়ামতপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
তারই প্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ ও নিয়ামতপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হায়দার আলী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা যত দ্রুত সম্ভব এর সমাধান করার আশ^াস দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সমাজসেবক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ইয়াসিন আলী জানান, আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, হাট কমিটিতে বার বার বিষয়টি নজরে এনেছি। তারপরও আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। শুধু ময়লার স্তুপ না ড্রেনগুলোর অবস্থাও নাজেহাল। ড্রেনে ময়লা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে আছে। পরিস্কার করার কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা হাট কমিটি। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের খাজনা আদায় করছে।
নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম জানান, আমি বার বার মৌখিকভাবে হাট কমিটির ইজারদারকে ময়লা পরিস্কার করার কথা বলেছি। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে রামনগর মোড়ের কাছে খাস জায়গায় ময়লার ফেলার স্থান নির্ধারণ করেছি। অথচ হাটের ইজারদার (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। ইতিপূর্বে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক টাকা ব্যয় করে হাটের উত্তর পাশে জমা থাকা ময়লা আজর্বনা পরিস্কার করেছি।
হাটের ইজারদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এর সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ জানান, আমি ইচ্ছে করলে কালকের মধ্যেই ময়লা আবর্জনা সরিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু যদি জায়গাটিতে কোন দোকান বসানো না যায় তাহলে আবারও ময়লা আবর্জনার স্তুপ হয়ে যাবে। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে সেখানে স্থায়ীভাবে দোকান বসানোর ব্যবস্থা করতে।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর