সর্বশেষ সংবাদ :

বড়াইগ্রামে আইনজীবীর সহকারীর লাশ উদ্ধার

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে নলকুপের গোড়ায় ১০ ফুট মাটি খুড়ে শাহীন শাহ (৪০) নামে এক আইনজীবীর সহকারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার জলন্দা গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। শাহীন শাহ সদর উপজেলার দস্তনাবাদ গ্রামের নজির শাহ’র ছেলে এবং নাটোর কোর্টের অ্যাডভোকেট রাজীব হোসেনের সহকারী। বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

এঘটনায় পরকিয়া প্রেমিকা সৌদি প্রবাসী আয়ুব আলীর স্ত্রী জলন্দা গ্রামের হেলাল হোসেন ফালুর মেয়ে হুসনেয়ারাকে আটক করেছে পুলিশ।

 

 

 

 

শাহীন শাহের চাচাত ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, গত সোববার কোর্টের কাজ শেষে করে বাড়িতে যায় শাহীন শাহ। এসময় হুসনেয়ারা ফোনে তাকে ডেকে নেয়। সেই দিন রাত থেকেই শাহীনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বুধবার শাহীনের বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদি হয়ে নাটোর সরদ থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়রী করে। যার নম্বর ২১৮।

 

 

 

 

 

হুসনেয়ারার বড়ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, একটা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে শাহীনের সাথে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব। তখন থেকেই আমাদের বাড়ীতে যাতায়াত ছিল শাহীনের। কোন সময় বোনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়েছে বুঝতে পারিনি।
তিনি আর বলেন, আমার বোনকে সিংড়ায় বিয়ে দিয়ে ছিয়েছি। স্বামী আয়ুব আলী উমানে চলে যাওয়ার পর থেকে সে আমাদের বাড়ীতেই থাকে।
হুসনেয়ার বরাত দিয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীব জানান, হুসনেয়ারার স্বামী দির্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে প্রায়ই তাকে উত্ত্যোক্ত করে শাহীন। সোমবার সন্ধায় শাহিন তার বাড়িতে আসে। মাকে ঘুমেয়র ঔষধ খাইয়ে হুসনেয়ারার সাথে মেলামেশার চেষ্টা করে শাহিন। পরে হুসনেয়ারা শাহিনকে দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। তার প্যান্টের বেল্ট খুলে গলার ফাঁসি দিয়ে শাষরোধ হত্যা করে। পরে নলকূপ মেরামতের জন্য খুড়ে রাখা গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেয়।

 

 

 

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেছে।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৩ | সময়: ৮:২৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর