আমরা মানুষের ভাগ্য এবং জীবনমান উন্নয়ন করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

নুরুজ্জামান,বাঘা :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। আমরা তাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে পেরেছি। বুধবার (৯-আগষ্ট)সকালে গনভবন থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায় গৃহহীনদের মাঝে ২২ হাজার ১০১ টি ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের তিনটি উপজেলার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হলেও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন দেশের সকল উপজেলা প্রশাসন-সহ রাজনৈতিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের নেত্রীবৃন্দ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা এ মাসে জাতির পিতাকে হারিয়েছি। তিনি গরিব দুখিদের ভালোবাসতেন। আমার বিশ্বাস এই শোকের মাসে গরিবদের ঘর উপহার দেওয়ায় তাঁর আত্না শান্তি পাবে।

 

 

 

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা যাদের জন্য সংগ্রাম আন্দোলন করেছেন আমি তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। আমরা অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস(ঘর) করে দিয়েছি। এ ছাড়াও পাহাড়ী সহ উপকূলে বসবাসকারিদের জন্য ঘর নির্মান অব্যাহত রয়েছে। এসব গরিবদের জন্য আমরা বিনা সুদে ঋণ প্রদান এবং সু-প্রিয় পানি সহ সেনিটেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ২১১ টি উপজেলাকে ভুমিহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে এসেছি। আমরা মানুষের ভাগ্য ও জীবনমান উন্নয়ন করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বেইমান মোস্তাক-জিয়া আমার বাবা-মা সহ একই পরিবারের ১৭ জনকে হত্যার পর ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আমাদের দুই বোনকে ৬ বছর বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। অথচ সেই জিয়ার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে এখন দেশের বাইরে পলাতক রয়েছে। তারা এতিমদের টাকা আত্নসাৎ করে। এর চেয়ে লজ্জা জনক আর কিছু হতে পারেনা। অথচ আমরা সারা দেশে নজির বিহিন উন্নয়নের পাশা-পাশি ইতোমধ্যে ২৮ লক্ষ মানুষকে পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়ালে সরাসরি কথা বলতে পেরে অনেকেই আবেক আপ্লুত হন। একজন গৃহহীন মা’ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের উন্নয়নের বাতিঘর। অপর একজন বলেন, আপনি নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। একজন শিক্ষার্থী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদেরকে ঘরের সাথে আলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই আলোতে আমি পড়া-লেখা করি। আমি আপনার দোয়ায় অনেক বড় হতে চাই। ঘর পাওয়া এসব গরিব দুখিদের কথা সোনার পর অশ্রুসিক্ত নয়নে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওয়াদা করেন ফের যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না।

 

 

 

 

এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান শেষে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, আমরা আশ্রয় প্রকল্পের প্রথম (ক) তালিকায় যাদের জমি এবং ঘর নেই এ রকম ১৪৯ টি পরিবারকে বিদ্যুৎ ,সু-প্রিয় পানি এবং সেনিটেশান-সহ ঘর নির্মান করে দিয়েছি। এর আগে জমি আছে ঘর নেই এ রকম তিনশ পরিবারকে ঘর নির্মান করে দেয়া হয়েছে।

সানশাইন/সোহরাব

 


প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩ | সময়: ৫:৫০ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর