সাড়ে ১৩ লাখ টাকার রসুনসহ ৫ দিন ধরে লাপাত্তা ট্রাকচালক

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: ঢাকায় মোকামে যাবার পথে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের রসুন নিয়ে পাঁচদিন যাবৎ লাপাত্তা রয়েছেন সুমন আলী নামের এক ট্রাক চালক। এ ঘটনায় রোববার বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ট্রাক চালক নয়াবাজার হাট থেকে ৯ জন ব্যবসায়ীর প্রায় ৭ মেট্রিক টন রসুন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
লিখিত অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নয়াবাজার হাট থেকে ৬ ব্যবসায়ী ৩.৬৩০ মেট্রিক টন এবং পাশের নাদো সৈয়দপুর বাজার থেকে অপর তিন ব্যবসায়ী ৩.০৬০ মেট্রিক টন রসুন কিনেন। পরে দুই হাটের ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে ট্রাকের মধ্যস্থতাকারী বড়াইগ্রামের রয়না ভরট গ্রামের হারুন ওরফে হারানের মাধ্যমে ঢাকায় মোকামে রসুনগুলো পৌঁছানোর জন্য একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্টো-ড-১৪-৬৬৮৬) ভাড়া করেন। চালক সুমন আলী সেদিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রসুন বোঝাই ট্রাক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর মধ্যে চালকের সাথে একাধিকবার কথা হলেও রাত ১০টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে গত পাঁচদিনেও চালক সুমনসহ ট্রাকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি রসুনগুলোও নির্ধারিত মোকামেও পৌঁছাননি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নয়ন ও রফিক হোসেন জানান, তারা বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুরের বিভিন্ন হাট থেকে রসুন কিনে ঢাকার আড়তে বিক্রি করেন। গাজীপুর চৌরাস্তা, বাইপাইল ও কোনাবাড়ি আড়তে পৌঁছানার জন্য রয়না ভরট গ্রামের ট্রাকের দালাল হারানের মাধ্যমে ট্রাকটি ভাড়া করেন। কিন্তু পাঁচদিনেও কোন যোগাযোগ না হওয়ায় তারা সব রসুন লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
ট্রাকের মধ্যস্থতাকারী হারুন ওরফে হারান জানান, ঢাকায় আড়তে রসুনগুলো পেঁৗঁছানার জন্য তিনি সাড়ে ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে ট্রাকটি ভাড়া করেছিলেন। চালকের সাথে তিনি সবশেষ বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত কথা বললে তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে থাকার কথা জানান। এরপর থেকে চালকের মোবাইল ফোন থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। চালকের অবস্থান নির্ণয় ও রসুন উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।


প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩ | সময়: ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর