পবা থানার ওসিকে তলব : ২২ বার দিন পড়লেও জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: মানহানি ও আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় ২০২১ সালের ২৬ আগষ্ট রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী কোর্ট এলাকার শহিদুল্লাহ খাঁন নামের এক ভূক্তভোগী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত, রাজশাহীতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
আদালতের আদেশের পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য ২২বার দিন পরিবর্তন হয়েছে। অভিযোগের পর প্রায় ২বছর কেটে গেছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি ও প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেনি পবা থানা পুলিশ। গত ২ আগষ্ট ছিলো প্রতিবেদন জমা দানের ২৩তম ধার্য তারিখ। এই দিনেও থানা কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত সংক্ষুব্ধ হয়ে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ১০ আগষ্ট আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের তদন্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র থেকে জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৪০ ধারায় তদন্ত প্রতিবেন জমা দেয়ার সর্বোচ্চ সময়সীমা অতিক্রম করেছে পবা থানা কতৃপক্ষ। সেই সাথে আদালতের অনুমতিক্রমে সময়সীমা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও লঙ্ঘন করেছে।
আদালতের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করা দায়িত্ব পালনে অবহেলা হিসেবে গন্য হতে পারে। সঠিক সময়ের মধ্যে বিচার পাওয়া মানুষের অধিকার। মামলার তদন্ত রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব হলে বিচার প্রার্থী তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং অপরাধীরা দায়মুক্তভাবে চলা ফেরা করে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শহিদুল্লাহ খাঁন এর নিযুক্ত আইনজীবী এডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, ২বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের অভাবে মামলা আজ পর্যন্ত আদালত আমলে গ্রহন করেনি। এতো দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়াকে তিনি তদন্তকারী সংস্থার চরম ব্যর্থতা বলে আক্ষায়িত করেন।
এ বিষয়ে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ বলেন, এ ধরনের কোন মামলায় কি আদেশ হয়েছে এ সম্পর্কে আমার জানা নাই। আমার কাছে আদালতের কোন আদেশও আসেনাই। তিনি আরো বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত রিপোর্টগুলো ফরেন্সিক টেস্ট নির্ভর। তাই ফরেন্সিক রিপোর্ট ছাড়া প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হয়না।


প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ