প্রেগনেন্সি টেস্টের ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে ধর্ষণের মামলা, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

মান্দা প্রতিনিধি :
নওগাঁর মান্দায় দেড় মাসের অন্তঃসত্তা দাবি করে ফজলে রাব্বী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করছেন এক নারী। ওই মামলায় ফজলে রাব্বীকে (৩০) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ফজলে রাব্বী উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচদিন ধরে তিনি নওগাঁ কারাগারে আছেন। অভিযোগ উঠেছে মামলার এজাহারের সঙ্গে প্রেগনেন্সি স্টেটের যে রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে সেটি ভূয়া। এ দাবি নিয়ে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে মান্দা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ফজলে রাব্বীর স্বজনেরা।

 

 

 

 

লিখিত বক্তব্যে ফজলে রাব্বীর স্বজন হীরা বানু মৃধা বলেন, গত ২৭ জুন প্রসাদপুর বাজারের আইডিয়াল হসপিটাল এণ্ড ডায়াগনস্টিকের ল্যাবে তিনজন নারীর প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ধর্ষণ মামলার বাদির কোনো নাম নেই। প্রেগনেন্সি টেস্টের রিপোর্টে জাহিদ হাসান নামে একজন টেকনোলজিস্ট এর স্বাক্ষর থাকলেও তিনি ওই হসপিটালের কেউ নন। সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া রিপোর্ট তৈরি করে ফজলে রাব্বাীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন প্রতারক ওই নারী।
হীরা সুলতানা মৃধা অভিযোগ করে বলেন, সুচতুর ছলনাময়ী এই নারী এ পর্যন্ত ১১জন যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। পরে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডিভোর্স দেন। বর্তমানে জামালপুর জেলার শফিকুর রহমান শফিক নামে এক যুবকের কাছ থেকে কাবিননামার ৫ লাখ টাকা নিলেও এখন পর্যন্ত তাকে ডিভোর্স দেননি। মামলার হুমকি দিয়ে শফিকের কাছে আরও ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

 

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর ৫টি বিয়ের কাবিননামা উপস্থাপন করা হয়। এসময় ফজলে রাব্বীর মা রেবেকা সুলতানাসহ ফারহানা তাসমিন, রোকসানা পারভীন, ইকবার হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আইডিয়াল হসপিটাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক এর পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে ওই নারীর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয়নি। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তিনি ভূয়া রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী জজ বলেন, ‘ওই নারী নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে আমাকে বিয়ে করেন। পরে জানতে পারি এর আগেও তার একাধিকবার বিয়ে হয়েছে। আমার কাছে থাকা অবস্থায় বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েন। পরে ২২ লাখ টাকা নিয়ে আমাকে ডিভোর্স দেন।’ এসব বিষয়ে জানতে ওই নারীর মোবাইলফোনে কল দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও আর রিসিভ করেননি।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৩ | সময়: ৩:১৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর