রাজশাহীতে ক্রেতাশূন্য আমের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার : শেষ সময়ে রাজশাহীর বাজারে কমে এসেছে আম। এখন শোভা পাচ্ছে আম্রপালি ও ফজলি। আমের রাজা ফজলি হলেও মিস্টি জাতের আম্রপালির আধিক্যের কারনে সৌলুস হারিয়েছে ফজলি। তাই ক্রেতার পাশাপাশি দামও কমেছে।
শেষ সময়ে এসে বাজারে আমের জোগান যেমন কমেছে তেমন কেনাবেচায় পড়েছে ভাটা। মৌসুম শুরুর দিকে যেমন আম নিয়ে রাজশাহীর বাজারে হাকডাক পড়ে এখন তেমন নাই। বাজারের ঝুড়িতে এখন আম্রপালির পাশাপাশি ফজলির পসরা থাকলেও অনেকটা ক্রেতাশূণ্য অবস্থায় রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন তুলনামুলক এখন আমের ক্রেতা মিলছে না। বাজারে এখনো আম পর্যাপ্ত থাকলেও সেই অনুপাতে ক্রেতা নেই। তাই অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণে রাজশাহীতে আমের ক্রেতা কমে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আম নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু কেনার মতো লোক তেমন পাচ্ছেন না। বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারেও। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে আমের দাম কমে গেছে। এ জন্য বৃষ্টির কারণে নানা রকম ভোগান্তির কথা বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বানেশ্বরে এখন আম্রপালি ৩ হাজার টাকা ও ফজলি তার অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে।
মৌসুমের শুরু থেকেই রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফুটপাতে আম বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এখানে এখনো সারি সারি আমের দোকান। তবে ক্রেতা নেই তেমন। ঈদের পর থেকেই খুচরা আমের এই বাজারে ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এখানকার আম ব্যবসায়ী তুহিন বলেন, ‘ঈদের পরদিনই দোকান খুলেছি, কিন্তু বৃষ্টি লেগেই আছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতারা ঠিকমতো আসছে না। বাধ্য হয়ে দাম কমাতে হচ্ছে।’
সারোয়ার হোসেন নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে আমের বাজার খারাপ হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন আম শেষের দিকে। প্রতিবছর এই সময় আমের দাম বাড়তে থাকে। এবার বৃষ্টির কারণে চিত্র উল্টো। আম বিক্রি না করলে পচে যাবে। তাই কম দামে হলেও আম বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এতে লাভ থাকছে না।
মঙ্গলবার সকালে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে গিয়ে দেখা যায় আম নিয়ে তেমন হাকডাক নেই। ইকরামুল হক নামের এক ব্যবসায়ী জানান, এখন বাজারে আম্রপালি ও ফজলি পাওয়া যাচ্ছে। অঅম্রপালি প্রতিমন ৩ হাজার টাকা ও ফজলি বিক্রি হচ্ছে ১৫শ টাকা মন দরে। তবে কাঙ্খিত দাম মিলছে না।
তিনি বলেন, ঈদের আগে তিনি বাজারে লক্ষণভোগ বা লখনা আম বিক্রি করে গিয়েছেন দেড় হাজার টাকা মণ। এখন আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে সামান্য। তিনি বলেন, বিষ্টি না হোলে বাজার ভালো থাকত। বানেশ্বর বাজারের আম ব্যবসায়ী ইকরামুল বলেন, ফজলি আম ও আম্রপালি এখন বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এসব আমের দাম আরেকটু বেশি ছিল। ঈদের পরে দাম কমেছে।


প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৩ | সময়: ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ