বাঘায় অবৈধ খেয়াঘাট বন্ধ করলো প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বারশতদিয়াড় গ্রামে নতুন একটি খেয়াঘাট চালুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে এক প্রভাবশালী ইজাদারের সাথে স্থানীয় লোকজনের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে রোববার অবৈধ খেয়াঘাট থেকে একটি নৌকা জব্দ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জুয়ের আহাম্মেদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে চলতি বছরে (বাংলা ১৪৩০) গোকুলপুর, চৌমাদিয়া, কিশোরপুর, দিয়াড়কাদিরপুর ও আতারপাড়া ফেরিঘাট ইজারা দেওয়া হয়। শর্তপূরন সাপেক্ষে আয়কর-ভ্যাটসহ ইজারামূল্যর ৮৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ফেরিঘাট ইজারা নেন পাকুড়িয়া গ্রামের সুরুজ আলী।
এদিকে হঠাৎ করেই মশিদপুর গ্রামের নাহারুল ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী তার লোকজন নিয়ে ইজারা নেওয়া সীমানা মীরগঞ্জ বারশতদিয়াড় গ্রামে নতুন একটি খেয়া ঘাট চালু করেন। এনিয়ে স্থানীয় কতিপয় লোকজনের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে রোববার দুপুরে অবৈধ খেয়াঘাট থেকে একটি নৌকা জব্দ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জুয়ের আহাম্মেদ। তিনি ঐ নৌকাটি মীরগঞ্জ বিজিবির হেফাজতে রাখেন।
সুরুজ আলী জানান, নাহারুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার উদয়নগর এলাকার ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। পরে বাঘা উপজেলার আতারপাড়া ফেরিঘাট এবং মীরগঞ্জ এলাকার বারশতদিয়াড় গ্রামে নতুন একটি খেয়াঘাট চালু করেন। এরপর তাকে নিষেধ করে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়।
তবে নাহারুল ইসলাম দাবি করেন, জোর করে কোন কিছু করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকজনের চাহিদা সাপেক্ষে তিনি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নতুন খেয়া ঘাট তৈরী করেছেন। তার মতে, এ ঘাটটি চালু করা হলে আগামী বছর থেকে ইজারা প্রদানের মাধ্যমে সরকার এখান থেকে রাজস্ব পেতে পারতো।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) জুয়েল আহমেদ বলেন, সরেজমিন তদন্তের পর, অবৈধভাবে ঘাট পরিচালনার দায়ে নাহারুলের ফেরি পারাপারের একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ নৌকাটি মীরগঞ্জ বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।


প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর