বাঘায় ৩৮ লাখ টাকা মোবাইল চুরির ঘটনায় পুলিশের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে অবস্থিত মোল্লা এন্টার প্রাইজ শো-রুমের তালা ভেঙে ৩৫ লাখ টাকার মোবাইল-সহ নগদ তিন লাখ টাকা চুরির কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও গত এক মাসে এর কোন ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই শো-রুমের মালিক রোসনাল আহম্মেদ সুজন (৩০ মে) সোমবার রাতে শো-রুম বন্ধ করে প্রতি দিনের ন্যায় বাড়ি চলে যান। এর পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে তিনি শো-রুমে এসে দেখেন গেটে নতুন তালা লাগানো। এতে তার সন্দেহ হয়। এরপর তালা ভেঙে শো-রুমে প্রবেশ করে দেখেন দোকানে রাখা সমস্ত মোবাইল চুরি হয়ে গেছে। যার মুল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। একই সাথে ক্যাশ বাক্সে রাখা তিন লাখ আট হাজার ৯৯০ টাকাও চুরি হয়ে গেছে । এ ঘটনায় মোল্লা এন্টারপ্রাইজের মালিক রোসনাল আহম্মেদ সুজন তাৎক্ষনিক পুলিশকে ফোন দেন এবং তিনি বাদী হয়ে সকাল নয় টায় বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি)করেন।

এ দিকে খবর পেয়ে ঐ দিনই বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ এবং রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে শো-রুম মালিক সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁদের ভেতর আশা জাগে হয়তো-বা খুব তাড়া-তাড়ি এর রহস্য উদঘাটন হবে। পুলিশের পক্ষ থেকেও এমনটিই অভিমত ব্যক্ত করা হয়। কিন্ত এ ভাবে গত একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও অদ্যাবধি কোন আসামী গ্রেফতার কিংবা চুরির-ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এর ফলে পুলিশের বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এতো বড় চুরির ঘটনার রহস্য কেন উদঘাটন হচ্ছেনা ? স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে বিষয়টি সুষ্ট তদন্তের জন্য সরকারের অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি কামনা করেছেন।

মোল্লা এন্টারপ্রাইজ শো-রুমের মালিক রোসনাল আহম্মেদ সুজন জানান, শাওমি, আইটেল, মারসেল ও জিওসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির পরিবেশক তিনি। তাঁর অধিন ১৩ জন লোক নিয়োগ করা আছে। এরা প্রতিদিন সকাল থেকে বিভিন্ন মার্কেটে চারটি কোম্পানির মোবাইল ফোন বিক্রি করে। এরপর সন্ধ্যায় এসে টাকা বুঝিয়ে দেন। অত:পর দোকানের ক্যাশ বাক্সে টাকা রেখে পরদিন সকালে দোকানে এসে তিনি ব্যাংক টাকা-লেনদেন করেন।

এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়, এ রকম কাওকে অযাথা হয়রানী করতে চাইনা। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং চুরির সাথে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার।


প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ | সময়: ৯:১০ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন