রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করছে ‘বাতিঘর’, আজ উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার : সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করতে শিক্ষা নগরী খ্যাত বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করছে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বই বিক্রেতা ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বাতিঘর। ১৯ বছরে পা রাখা এ প্রতিষ্ঠানটির ষষ্ঠ আউটলেট রাজশাহীতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ শনিবার। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ আউটলেট উদ্বোধন করবেন।
আউটলেট উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার পেছনে খানসামার চকে প্রতিষ্ঠা করা বাতিঘরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাতিঘর আউটলেটের যাত্রা শুরুর উদ্দেশ্য তুলে ধরেন বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাস।
এ সময় বাতিঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক জাফর আহমদ রাশেদ ও জেনারেল ম্যানেজার মো. কাইয়ুমসহ শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বইয়ের প্রকাশক হিসেবে বাতিঘরের যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে। সমসাময়িক কবি-সাহিত্যিকদের বই, ভিন্ন ভাষা থেকে অনূদিত বইয়ের পাশাপাশি ধ্রুপদী ও দুষ্প্রাপ্য সাহিত্যের মানসম্মত সংস্করণ প্রকাশ করছে বাতিঘর। ইতোমধ্যে ৩৫০টির বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে বাতিঘর থেকে। এর মধ্যে প্রায় ১২০টি বইয়ের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ সংস্করণ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
বাতিঘর থেকে প্রকাশিত বই দেশের কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেছে। বাতিঘর প্রকাশ করেছে ইতিহাস, রাজনীতি, আত্মস্মৃতি-আত্মজীবনী স্মৃতিকথা, মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, উপন্যাস, অনুবাদ উপন্যাস, কাব্য উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, ছোটগল্প, অনুবাদ ছোটগল্প, কবিতা, অনুবাদ কবিতা, নাটক, নাট্যকাব্য, ধ্রুপদী বই, শিশু-কিশোর উপযোগী বই, শিশু-বিলার উপযোগী অনূদিত বই, চলচ্চিত্র, ভ্রমণ, পুরাণ, শিল্পকলা, জীবনকথা, কিশোর জীবী, বিজ্ঞান, সংগীত, শিক্ষা, খেলাধুলা প্রভৃতি বিষয়ে বই।
রাজশাহী বাতিঘরের আউটলেটটি বিশাল পরিসরে হাজার হাজার বই দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর নকশাও শিল্পী শাহীনুর রহমানের। ১৮ শতকে শেরপুরে প্রাপ্ত ও মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত একটি প্রত্নতোরণের আদলে তৈরি হয়েছে রাজশাহী বাতিঘরের প্রবেশদ্বার।
এছাড়া বাতিঘরের সব শাখাতেই আছে বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষার বইয়ের বিপুল সংগ্রহ। কথাসাহিত্য, গল্প-প্রবন্ধ-কবিতা, শিল্প-দর্শন-ইতিহাস-রাজনীতি, মনোবিজ্ঞান, নাট্যতত্ত্ব, স্থাপত্যশিল্পসহ বিবিধ বিষয়ের বইয়ের সম্ভার আছে ছেলে-বুড়ো সবার জন্য। বাতিঘরের প্রতিটি শাখায় ছোটদের জন্য রয়েছে আলাদা শিশু-কিশোর কর্নার।
সংবাদ সম্মেলনে বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাস বলেন, এখানে যে কেবল বই বিক্রি হবে তেমন নয়। এ বাতিঘরে কবিতা, সাহিত্য আড্ডা বসবে। যেখানে কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের সম্মিলন ঘটবে। মূলত দেশের সবগুলো শহরে না পারলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সবখানেই জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্যকে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়াই বাতিঘরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।


প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:১২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ