পুকুর খননের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারপিটে জখম

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে পুকুর খননের ভেকুর ভাড়ার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভেকু ও দোকান ভাংচুর এবং আজিম উদ্দিন (২৭) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ১০ টার দিকে রয়না ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আজিম উদ্দিন বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আজিম উদ্দিন উপজেলার ইকড়ি গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন টাক্টরের ড্রাইভার।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার চক বড়াইগ্রাম গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে আদম আলী (৪০) একজন মাটি ব্যবসাই। ফসলী জমিতে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রয় করাই তার কাজ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধীক পুকুর খনন করে মাটি বিক্রয় করেছে। সেই মাটি পুকুর খনন করার জন্য উপজেলার চকপারা গ্রামে মিলন বাবুর নিকট থেকে ভেকু ও ট্রাক্টর ভারা নেয় আদম আলী। গতরাতে সেই ভাড়ার টাকা নিয়ে মিলন বাবু ও আদম আলীর কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি শেষে মিলন বাবু চলে যায়।
পরে ট্রাক্টরের ড্রাইভার আজিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে আসলে আদম আলীর নেতৃত্বে রয়না ভরট গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে শাহিদুল ইসলাম (২৬), এনামুল হোসেনের ছেলে মানিক হোসেন (২২), বাবু আলীর ছেলে তারেক হোসেন (২০), মাহমুদপুর গ্রামের মোজাহারের ছেলে মতিন আলী (২৮) তাকে মারপিট করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে মিলন বাবুর ভাড়া দেওয়া ভেকু মেশিন উপজেলার পিঙ্গইন গ্রামে আদম আলী ও তার লোকজন গিয়ে ভাঙচুর করে।
আজিম উদ্দিন বলেন, আমি কিছুই জানিনা। আমি প্রতিদিনের মত সেখানে যাওয়া মাত্রই আমাকে মারপিট করে। মিলন বাবু বলেন, আমার পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার ড্রাইভারকে মারপিট করে ভেকু মেশিন ভাংচুর করল। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। অভিযুক্ত আদম আলী বলেন, কয়েকটা চর থাপ্পর দেওয়া হয়েছে। ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটে নাই। স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংসা করে নেওয়া হবে।
বড়াইগ্রাম থানায় পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ | সময়: ৪:১০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ