সর্বশেষ সংবাদ :

প্রতিপক্ষ গুড়িয়ে দিয়েছে বসত বাড়ি, মিলছে না প্রতিকার

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রানীনগরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা জলিল ও তার স্ত্রী জোসনা বেগমকে মারপিট করে, বাড়ীঘরের আসবাবপত্র, টাকা মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে, ইটের পাকা ঘর, রান্না ঘর নলকুপসহ বাথরুম ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।
এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি ওই স্থানে টিনের বেড়া দিয়ে গাছপালা লাগিয়ে দখল করে নিয়েছে তারা। ঘটনার সময় জীবন রক্ষার্থে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ আসলে তারা আশফালং করতে করতে চলে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার জেলার রানীনগর থানার হরিশপুর গ্রামের মৃত জসীম উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিলের বাড়ীতে। জলিল তার স্ত্রীকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের পানি ও খাবার পানি এবং প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে হচ্ছে অন্যের বাড়ীতে। সুষ্ঠ বিচার চেয়ে গ্রাম প্রধানের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও এখনও পর্যন্ত কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।
আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, তারা দুজনে বাড়ীতে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন থেকে প্রতিপক্ষ মোতহারের পুত্র রিংকু। তিনি মিরাট ইউনিয়নের বিলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও তার ভগ্নিপতি কাজল মাষ্টার নওগাঁ শহরের হাট নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক।
তাদের বাড়ী সম্প্রসারণের জন্য প্রতিবেশী জলিলের নিকট দেড় শতক জমি চান। তারা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা জমি দিতে নারাজ। এমনকি আদালতে মামলাও করেন। আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
তারা কোন উপায় না দেখে পেশীশক্তি প্রভাব খাটিয়ে ওইদিন তারা সহ ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ভাড়াটে দল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট, আসবাবপত্র টাকা পয়সা জিনিসপত্র লুটপাট করে, ইটের পাকা ঘর, রান্না ঘর নলকুপসহ বাথরুম ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে ওই স্থানে টিনের বেড়া দিয়ে গাছপালা লাগিয়ে দখল করে নিয়েছে তারা।
ঘটনার সময় জীবন রক্ষার্থে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ আসলে তারা আশফালং করতে করতে চলে যায়। জলিল তার স্ত্রীকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের পানি ও খাবার পানি এবং প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে হচ্ছে অন্যের বাড়ীতে। সুষ্ঠ বিচার চেয়ে গ্রাম প্রধানের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়েও কোন রুপ প্রতিকার পায়নি। থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও এখনও পর্যন্ত কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। তারা সুষ্ঠ বিচারের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ওই গ্রামের গ্রাম প্রধান আব্দুস সামাদ ও আবুলের নিকট বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান, রিংকু ও কাজল তারা প্রভাবশালী। আমাদের কোন কথা তারা শোনে না। কয়েকবার বৈঠক করেও তারা মানে নি। ঘটনাটি কোন ভাবেই ঘটানো তাদের মোটেই ঠিক হয় নাই বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে রিংকু ও কাজল মাষ্টার জানায় আমরা যে কাজটি করেছি, ঠিকই করেছি। আপনাদের কোন কিছু লিখার বা করার থাকলে করেন কোন লাভ হবে না।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার সময় ৯৯৯ ফোন পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ | সময়: ৫:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ