সর্বশেষ সংবাদ :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

স্টাফ রিপোর্টার : পুকুরে একইসঙ্গে মাছ চাষ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন দুটোই হচ্ছে। দেশের একমাত্র ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডেও। বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া বিদ্যুৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জে লোডশেডিং কমাতে ভূমিকা রাখবে।
দেশে একমাত্র ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এটি। পুকুরে ফুডগ্রেড প্লাস্টিকের সঙ্গে সৌর প্যানেল যুক্ত করে উৎপাদন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। ফলে এই পুকুরে একইসঙ্গে মাছ চাষ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন, দুটোই হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে নবাব অটো রাইস মিল সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভাসমান প্যানেল থেকে ঘণ্টায় গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৮০০ কিলোওয়াট। নবাব অটো রাইস মিল ও জুলস পাওয়ার লিমিটেড যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করেছে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নবাব অটো রাইস মিলের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত হলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জুলস পাওয়ার লিমিটেডের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিদুজ্জামান।
নবাব অটো রাইস মিলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাহিদ হাসান জানান, দুটি পুকুরে প্রায় দেড় হাজার সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। প্যানেলগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে পুকুরে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যহত না হয়। প্যানেল বসানোর পরও এখন পর্যন্ত মাছের সার্বিক উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়েনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল আজিম বলছেন, নবাব অটো রাইস মিলে ভাসমান ও ছাদে স্থাপিত সৌর প্যানেল থেকে ২ দশমিক ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ নেট মিটারিং পদ্ধতিতে যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিদ্যুৎ ঘাটতি কিছুটা কমবে বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।
নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই পদ্ধতি দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে, দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ