প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছোট ভাবছেন না লিটন : ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ছোট মনে করছেন না আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী এএইচএম খাররুজ্জামান লিটন। তাই ভোটের মাঠে সার্বক্ষণিক সক্রিয় রয়েছেন তিনি।
মেয়র পদে এখনো কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। কিন্তু প্রচারণায় থেমে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। নির্ভার থাকতে চান না তিনি। ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি ও নিজের পক্ষে ভোটার টানতে চালাচ্ছেন বিরামহীন প্রচারণা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি পদত্যাগ করবেন ২১ মে এবং মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ২৩ মে। এর আগে যেসব আনুষ্ঠানিকতা, সেগুলো সম্পন্ন করছেন দলের সিনিয়র নেতারা। তিনি মেয়র হিসেবে জনগণের সঙ্গে এই মেয়াদের বাকি সময়টুকু শুভেচ্ছা বিনিময় করে কাটাচ্ছেন।
লিটন বলেন, সব প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বী। কাউকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যান, তারা যেন নৌকায় ভোট দেন, সে জন্য তিনি উদ্বুব্ধ করছেন। এরপর প্রতীক পেলে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন।
শুধু লিটন নন, তার পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভক্ত হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’-এই স্লোগান সামনে রেখে তার সমর্থকরা প্রচারণায় নেমেছেন। এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে এখনো তিন দিন বাকি। এরপর যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ।
তবে তার আগেই ওয়ার্ডগুলোতে উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বর্তমান কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিরোধ বাড়ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। ঘটছে হামলার ঘটনাও। সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সাবেক নেতা ও তার স্ত্রী মাঠে নেমেছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগেরই আরেক প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বর্তমান কাউন্সিলরের সমর্থকদের।
গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ দাবি করেছেন, তিনি বা তার স্ত্রী কারও পক্ষে প্রচারণায় নামেননি। বুধবার রাতে হাজরাপুকুর এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন তার সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় আশরাফ বাবু ও তার সমর্থকরা ওই এলাকায় প্রচার চালাতে উপস্থিত হন। সুমনের সঙ্গে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে দেখে আশরাফ বাবু উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
তবে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।
এদিকে ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি নেতা সাহিদ। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে দলটির সাবেক নেতা সাহিদ হাসান আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র প্রার্থী হওয়ার। শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। রাজশাহীর মাঠে জাতীয়পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনে দুইজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও এখনো তাদের কোনো সাড়া শব্দ নেই।


প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ