সর্বশেষ সংবাদ :

তানোরের মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রার্থীদের ডেকে লাপাত্তা সুপার-সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর তানোর পৌরসভা দাখিল মাদরাসায় নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য লিখত ও মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ছিল শুক্রবার। এর আগে ১৪ মে প্রবেশপত্র দিয়ে বলা হয় শুক্রবার সকাল ৯টায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে।
সে অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে হাজিরও হন পরীক্ষার্থীরা। তবে পরিক্ষার দিন আসেননি মাদরাসা সুপার ও সভাপতি। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার অনেক পর প্রার্থীরা জানতে পারেন হবে না পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত ফিরে যান চাকরি প্রার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার মাদরাসার মাঠে পরীক্ষার্থীরা উপস্থিত হন নির্ধারিত সময়ের আগেই। মাদরাসার অফিসও খোলা ছিল। ভেতরে কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী বসে ছিলেন।
তাদের কাছে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, ‘গত বৃহস্পতিবার সুপার জানিয়েছেন নিয়োগ পরীক্ষা হবে। এজন্য শুক্রবার সকালে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী আমরা সকাল থেকে বসে আছি। সুপার ও সভাপতি কেউ আসেননি। মোবাইল করলেও ধরছেন না। পরীক্ষা না হলেওতো আমাদেরকে বলতে পারেন। কারণ যারা নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন সবাই এসেছেন। আমরাও অফিস বন্ধ করতে পারছি না।
জানা গেছে, তানোর পৌরসভা দাখিল মাদরাসায় নিরাপত্তা ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১৪ মে শনিবার মাদরাসার প্যাডে সুপার মুনসুর রহমানের স্বাক্ষরিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদনকারী সাফিউল ইসলাম, আশিক হাসান ও আয়া পদে নাসিমা, শিমানা ও জুথিসহ আরও কয়েকজন জানান, তাদের প্রবেশপত্র দিয়ে বলা হয়েছে শুক্রবার সকাল ৯টার সময় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে। সে মোতাবেক আমরা মাদরাসায় উপস্থিত হয়েছি। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর জানতে পারলাম পরীক্ষা স্থগিত। কিন্তু আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি।
এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মুনসুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল মোল্লা জানান, মাদরাসার নিয়োগ পরীক্ষা সকাল ৯টা বা ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়েছে। মূলত শিক্ষা অফিসার অনুপস্থিত থাকার করণে বাতিল করা হয়েছে। উনার সমস্যার কারণেই বাতিল করা হয়েছে।
তবে তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সকালে বের হবো, এমন সময় সেখান থেকে জানানো হলো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে মারামারি আশঙ্কা আছে। এ কারণে পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই আমি যাইনি। আমার কোনো সমস্যা ছিল না।


প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩ | সময়: ৫:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ