বাঘায় অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ি পুড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় অগ্নিকান্ডে ১০টি ঘর পুড়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গড়গড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে বাড়ির মালিক জানান। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনসহ বাঘা ও লালুপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গড়গড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে তার স্ত্রী দুপুরের রান্না করছিল। চুলায় রান্না করা অবস্থায় বাড়ির বাইরে কাজে যায়। এ সময় চুলা থেকে অগ্নিকান্ড শুরু হয়।
এ ঘটনায় প্রথমে রান্না ঘরের পাশে রাখা সাড়ে ৩০০ মণ পাটে আগুন লাগে। এরপর পর্যায়ক্রমে এক এক করে ১০টি ঘর আগুন পুড়ে প্রায় ৭ লক্ষ নগদ টাকা, ২০ মণ ভূট্টা, ৫০ মণ গম, ৫০ মণ ধান, একটি মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, দুটি সেলাইমেশিন, জমির দলিল, আলমারি, স্বর্ণালংকার, চেয়ার-টেবিল, খাট, আসবাবপত্র, জামাকাপড়সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
উপজেলা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান জানান, ১০টি কক্ষের মধ্যে ৭টি শয়ন ঘর, পাট ঘর ১টি, স্টোর রুম ১টি ও রান্না ঘর ১টি, ৩০০ মণ পাটসহ পুড়ে গেছে, ১টি মোটরসাইকের, ৩টি টিভি, ফ্রিজ ১টি, ১টি ভটভটি মেশিন ও অসংখ্য আসবাবপত্র।
এ বিষয়ে মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার এক পর্যায় বাঘা ও লালুপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর আগে বাড়ির সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমরা কি করে চলবো এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, বাজারে একটি দোকান ঘর ছিল। ওই দোকান ঘর বিক্রি করা বাবদ নগদ ৭ লক্ষ্য টাকা পুড়ে গেছে। এই মুহুর্তে আমার কাছে নগদ কোন অর্থ নেই।
গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি একই গ্রামে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনাত সেখানে যায় এবং ফায়ার সর্ভিসকে খবর দিই। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এর আগে বাড়ি সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের কিছু পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি। খুব শিঘ্রই তাদের নগদ অর্থ ও টিন দিয়ে সহায়তা করা হবে।


প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩ | সময়: ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ