বাঘায় পুকুর পাড় থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘার চক আমোদপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে আজিজুল আলম অরুপে আস্তুল নামে এক ব্যক্তির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত আস্তুলের বাড়ী চক আমোদপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত ইয়াকুব প্রামানিক। বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় লোকজন জানান, কতিপয় দুস্কৃতকারীরা বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড়ে মৃত আস্তল(৫০)কে নিশংস ভাবে হত্যা করে। এরপর গলা, চোখ,শরীল এবং মুখমন্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার চেহারা ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় । যাতে করে তাকে কেউ চিনতে না পারে। লোকজনের ধারনা, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৬ টার দিকে একটি বাই সাইকেল যোগে গাছ থেকে ঝরে পড়া আম কিনতে বের হয় একই গ্রামের খুচরা ব্যবসায়ী ইরুল ইসলাম। তিনি এই লাশ দেখে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা আস্তে-আস্তে সেখানে ভিড় জমাই এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

আস্তুলের ভাই গোলাম মোস্তফা-সহ এলাকার লোকজন জানান,১৯৯৮ সালে আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হতা করেছিল। এরপর পুলিশের হাতে আটক হয়ে ঘটনার স্বীকারুক্তি মুলক জবানবন্দী দিলে মহামান্য আদালতের বিচারক তাকে যাবত জীবন সাজা দেন। অত:পর গত দুই বছর পূর্বে করোনা কালিন সময় তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেন এবং তার দুই সন্তান সহ প্রতিবেশী লোকজনের সাথে খারাপ আচারণ শুরু করে। নিরুপায় হয়ে তার দুই ছেলে ফারুক এবং ছনি পিতার হাতে-পায়ে শিকল বেধে ঘরে বন্ধী করে জানালা দিয়ে খাবার দিতে থাকে তার বাবাকে। এ ভাবে এক মাস অতিবাহিত হলে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায় আস্তুল ।

পরে তিনি নিজের ভাই এবং ভাতিজার বাড়িতে খবার খাওয়া-সহ কখনো আম বাগান আবার কখনো-কখনো মানুষের বাড়ির (বৈঠক খানা)বারান্দায় শুয়ে রাত কাটাতেন। সর্বশেষ শুক্রবার(১২-মে) সকালে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। অল্প সময়ের মধ্যে লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। আমরা এই ঘটনার সাথে কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে সেটা অনুসন্ধান করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করবো। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য মৃত আস্তুলের ছোট ছেলে ছনি(২০)কে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি।

 


প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩ | সময়: ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন