সর্বশেষ সংবাদ :

আগামীতে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য : রাজশাহী হবে আরো আধুনিক

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা হতে ৩টা পর্যন্ত নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র মাননীয় মেয়র মহোদয় বলেন, পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে নগরীবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি সরবরাহের পাইপ বাসানোর জন্য নগরীতে নির্মিত নতুন রাস্তাগুলো যেন খুঁড়তে না হয়, সেজন্য ইতোমধ্যে অনেক রাস্তার নিচে ওয়াসার পাইপ বসানো হয়েছে। আমি সব সময় সকলের সাথে সমন্বিত করে নগরীর উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করি। এতে করে অর্থ অপচয় হয় না, নাগরিকদের ভোগান্তিও হয় না।
মেয়র আরো বলেন, পদ্মা নদীরধারে বিশাল চর রয়েছে। সেখানে ঘিরে রিভারসিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রিভার সিটি হলে সেখানে বিদেশী পর্যটক আসবে। আগামীতে রাজশাহীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী রূপে গড়তে তুলার কথা উল্লেখ করে রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহীতে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় করতে চাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদ আছে। সেখানে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তুলতে সকল সুযোগ সুবিধা আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্বাচনের পরেই এটির বিষয়ে প্রস্তাবনা পেশ করবো।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নগরী। এই নগরীর ইলেকট্রিক পোলে ডিস লাইন ও ইন্টারনেট ক্যাবলের তারের জটলা বেমানান। ইতোমধ্যে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সর্তক করা হয়েছে। আগামীতে তাদের সাথে আবার বসবো। তারের এই জঞ্জাল সরানো হবে।
শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে রাসিক মেয়র বলেন, এবার লক্ষ্য রাজশাহীতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন ও নৌরুট চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোড়াগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অথনীতি গতিশীল হবে। এছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন, বাস চালু করা হবে। বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। শহরের আয়তন বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, রাজশাহীর সভাপতি কল্পনা রায়, সচেতন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হাসিনুল ইসলাম চুননু। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের চীফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আজিজুর রহমান। সভায় বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে অডিটোরিয়ামে প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষকদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহীতে নৌবন্দর হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে। রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন ও নৌরুট চালু করতে চাই। প্রথম পর্যায়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোড়াগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস সার্ভিব চালু করা হবে। বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখানে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারাখানা গড়ে তোলা হবে। পদ্মায় জেগে ওঠা চরে রিভার সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে বিদেশী পর্যটক বাড়বে। এছাড়া রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে এই কাগুলো বাস্তবায়ন হবে।
রাসিক মেয়র বলেন, নির্বাচন আসলেই একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচার ও গুজব ছড়ায়। তাদের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম মাওলা।
সভায় আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এইচএম শহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান বেগম, পিএন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ আরা ইরানি। সভায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন।
মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সাথে মতবিনিময় : রাজশাহী মহানগরীর মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নগরীর মুন্সিডাঙ্গায় ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনেয় এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সবই কিছুই দৃশ্যমান। করোনা মহামারি কারণে দেড় বছর উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়। এরপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে প্রায় আড়াই বছর কাজ করা যায়নি। এসব সংকটের মধ্যেও যে উন্নয়ন করেছে, তা দৃশ্যমান। রাজশাহীর উন্নয়নে আরো কিছু কাজ বাকি আছে, সেগুলো আগামীতে করতে চাই। এজন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
মুসলিম মৎসজীবী ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুল রহমান কালুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাহেব বাজার মুসলিম মৎসজীবী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবলু, মুন্সীডাঙ্গা মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, স্থানীয় গোলাম আম্বিয়া প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম সরকার।
সভায় বড় বনগ্রাম (ভাড়ালীপাড়া) মুসলিম মৎসজীবী সমাজের ফরিদুল হক, নওদাপাড়া মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সভাপতি জান মোহাম্মদ, হাজরা পুকুর মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সভাপতি আলী হোসেন, শিরোইল মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সভাপতি ফিরোজ আলী, রামচন্দ্রপুর মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সভাপতি আলী সরদার, শেখেরচক মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সভাপতি মো: জহুরুল, মুন্সীডাঙ্গা মুসলিম মৎসজীবী সমাজের সভাপতি বদরে আলম।


প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩ | সময়: ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ