পবায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবায় জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নেয়াকে কেন্দ্র করে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে প্রতিবেশীকে হয়রানিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব হয়রানি থেকে বাঁচতে আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন করেছে ভূক্তভোগিগণ।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বালিয়াডাঙ্গা মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা কৃষক আইয়ুব আলীর ছেলে আইনাল হক, মৃত আমজাদ আলীর ছেলে বাবলু হোসেন ও মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে নাজিম আলী ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বসবাস করেন। প্রতিবেশী তোহিদুল হক ও তার স্ত্রী কাজলী বেগম, মৃত কালুর মেয়ে শিল্পী বেগম, আলম আলী ও তার স্ত্রী লাইলা বেগম তাদের জমি দখল করে জোরপূর্বক রাস্তা বানাতে চায়। এমনকি তাদেরকে রাস্তা না দেয়ায় বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ভুক্তভোগিরা তাদেরকে রাস্তা করার জন্য জমির দাম দিতে বললে তারা গালিগালাজসহ মামলা-হামলার হুমকি দেয়।
যার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এয়ারপোর্ট থানায় কাজলীর শ্বশুর শুকুর উদ্দিন শুকটা এবং ২০২০ সালের ১৫ আগষ্ট কাজলী বেগম বাদি হয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে। যা তদন্তপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতিয়মান হয়। ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল আবারো আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় ভূক্তভোগিদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ আরো জানা যায়, মামলাকারিদের সাথে যোগ দিয়েছেন কথিত অনলাইনের সাংবাদিক উপশহর এলাকার দবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে শহিদুজ্জামান সোহেল, বালিয়াপুকুর এলাকার কুবাদ হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন বাবু, এহসান হাবিব তারা, জয় খান ও জুলেখা খাতুন। এরমধ্যে মোজাম্মেল হোসেন বাবু প্রতিবেশী শিল্পী বেগমের আত্মীয়। এরা ভূক্তভোগিদের কাছে প্রথমে ওইসব সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকিসহ অর্থ দাবি করছে। অর্থ দিতে অস্বীকার করলে ভূক্তভোগিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে প্রকাশ করছে। আবার সাংবাদিক পরিচয়ে এরা বিভিন্ন থানায় নানা মামলার স্বাক্ষী ও তদবিরকারি হিসেবে কাজ করছে।
ভুক্তভোগিদের দাবি সাংবাদিক পরিচয় দানকারিরা মামলার সাক্ষী ও তদবিরকারি হিসেবে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এতে করে তারা ন্যায় বিচার পেতে সন্ধিহান হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি হয়রানিমূলক মামলার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রেক্ষিতে বিষয়টি সরোজমিন তদন্ত করে প্রশাসনিক হয়রানি থেকে মুক্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ভুক্তভোগিরা পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩ | সময়: ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ