ভোলাহাট ইউএনও’র বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহনাজ খাতুন। রবিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন বলেন, গত ০২ মার্চ ভোলাহাটে যোগদানের পর থেকে তার সেচ্ছাচারিতায় উপজেলার পরিষদের সকল প্রকল্প গ্রহণ করছেন। তিনি প্রতিমাসে উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় অনুমোদন না করে সভার রেজুলেশনে উঠিয়ে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের অর্থ অনিয়ম করে ব্যয় করছেন। কখনো জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে প্রকল্পের মাধ্যমে রাজস্ব তহবিলের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

ইউএনও বাসার সিসি ক্যামেরা মেরামতের নামে দেড়লাখ টাকাসহ পুকুর সংস্কারের নামে টিআর, কাবিটা ও কাবিখা প্রকল্প থেকে প্রায় ৪২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। একই ভাবে টিআর, কাবিটা ও কাবিখা প্রকল্পের কোন সভা না করেই গোপন মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। সেখানেও আমাকে কোন নোটিশ প্রদান করেন নি। এবং প্রকল্পের তালিকা পরিষদ সভায় অনুমোদন করেননি। এসব কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমকে সহযোগিতা করেন, স্থানীয় সরকার উপজেলা প্রকৌশলী মো. আছহাবুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার।

গত চার বছরে উপজেলা প্রশাসনের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প থেকে আমাকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে প্রকল্পের তালিকাও দেখতে দেন না। তারা বলেন, আমার নাকি জানার অধিকার নাই। বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেও আমি এর কোন প্রতিকার পাইনি বলে অভিযোগ করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহনাজ খাতুন। তিনি ইউএনও’র বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলন থেকে। এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিলেও তিনি উত্তর দেননি।

সানশাইন/সোহরাব