সর্বশেষ সংবাদ :

মাহে রমজান

সানশাইন ডেস্ক : পবিত্র রমজানুল মুবারক আমরা অতিবাহিত করে চলেছি। আজ রমজানুল মোবারকের ১৭তম দিবস। মুমিন জীবনে অফুরন্ত সাওয়াব ও নৈকট্য লাভের সুযোগ এনে দিয়েছে এ পবিত্র মাস। মহানবী হজরত রাসূলে কারীম (স.) ইরশাদ করেছেন- ‘যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো নফল ইবাদতের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রচেষ্টা চালায় সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল।’ এ মাসে দোয়া দরুদ ও যিকিরের ফজিলত অত্যধিক। এ মহান মাস ক্ষমা ও ইস্তিগফারের, তাসবীহ-তাহলীলের, তিলাওয়াত ও রিয়াজতের।
প্রিয় নবী (স.) বলেছেন- ‘তোমরা চারটি কাজ রমজান মাসে বেশি বেশি করার চেষ্টা করবে। দুটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আর দুটি কাজ-যা না করলে তোমার উপায় নেই। তন্মধ্যে প্রথম দুটি হলো-কালেমা তাইয়্যেবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি পাঠ করা। অপর দুটি হলো-বেহেস্তের প্রত্যাশা এবং দোজখের অগ্নি হতে পানাহ কামনা। অর্থাৎ ঘন ঘন ফরিয়াদ করা-হে মহামহীম মেহেরবান প্রভু! আমি তোমার কাছে জান্নাতের ভিখারি, আর দোজখের আযাব হতে পানাহ চাই।’ ফজিলত ওয়ালা দোয়া শিখাতে গিয়ে মহানবী হুজুর পুর নূর (স.) আরও বলেছেন- দুটি পবিত্র কাজ এমন রয়েছে-যা উচ্চারণে অতি সহজ, অথচ (কিয়ামত দিবসে) পাল্লায় সে দুটি হবে বেশ ওজনদার এবং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার কাছেও অত্যন্ত প্রিয়। তা হলো-‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযিম।’
হাদীস শরীফে আছে, ‘তিনটি আওয়াজ আল্লাহর খুবই প্রিয়। (১) সাউতুত দীক-মোরগের আওয়াজ। কেননা মোরগই সকালে তার নিজ ভাষায় আল্লাহর নামে জিকির করে বনি আদমের ঘুম ভাঙায়। ঘরে-ঘরে সে আওয়াজ তোলে সুব্বুহুন কুদ্দুস পাক-পবিত্র প্রভুর নামে তাসবীহ নিবেদন করি। (২) আল্লাহর পছন্দের দ্বিতীয় বিষয়টি হলো-কুরআন তিলাওয়াতকারীর আওয়াজ। অন্যত্র বলা হয়েছে-সর্বোত্তম (নফল) ইবাদত হলো কুরআন তিলাওয়াত। (৩) সাউতুল লাযী ইয়াদউ বিল আসহার- ওই ব্যক্তির আহাজারী-যে শেষ রাতে করুণ সুরে আল্লাহকে ডাকে।’ আমরা যেন সাধনা ও নৈকট্য হাসিলের জন্য এ বিষয়গুলো বেছে নেই।
মাহে রমজান


প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩ | সময়: ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ