বাঘা থানায় নতুন ওসি, গ্রেফতার আতঙ্কে মাদক ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় নতুন ওসি যোগদানের পর শুরু হয়েছে মাদক উদ্ধার ও তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের আটক অভিযান। এর ফলে গ্রেফতার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সীমান্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা।

বাঘা থানা পুলিশের একটি মুখপত্র জানান, এ থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ খায়রুল ইসলাম গত ০৮-মার্চ যোগদানের পর থেকে তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেনীর মাদক-সহ সর্বমোট ১৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে ইতোমধ্যে আটক করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ ১৯ মার্চ রাত ৯ টায় পাকুড়িয়া বেল্লালের মোড় এলাকা থেকে দেড় কেজি গাঁজা-সহ থানার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাদেক এবং আফাজ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। এই দু’জনের মধ্যে সাদেক আলীর নামে ১৩ টি মাদক মামলা রয়েছে।

এ থানায় অন্যান্য আটককৃতরা হলো-উপজেলার আলাইপুর মহাজনপাড়ার গোলাম মোস্তফা ও ভোলা,ভানুকর গ্রামের আলী হোসেন,জোতকাদিরপুরের মিলন মালাকার, চকছাতারীর শাহানা, পাকুড়িয়ার সাদেক আলী এবং আফাজ উল্লেখ যোগ্য।

স্থানীয় লোকজন জানান,সাদেক আলী অত্র এলাকায় মাদক সম্রাট হিসাবে পরিচিত।তাঁদের ভাষ্য মতে, শুধু সাদেক আলী নয়, এ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় শত-শত মাদক ব্যবসায়ী রেয়েছে। তবে নবাগত অফিসার ইনচার্জ এ থানায় যোগদানের পর মাদক ব্যবসায়ীদের রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। তারা পুলিশ আতঙ্কে নির্ঘম রাত কাটাচ্ছেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার সর্তে বাঘা সীমান্ত এলাকার একজন স্কুল শিক্ষক জানান, এখানে পদ্মা নদী এলাকায় আলাইপুর এবং মীরগঞ্জ সীমান্তে দুটি বিজিবি ক্যাপ রয়েছে। তার পরেও হরহামাশে অত্র এলাকা দিয়ে ফেন্সিডিল ,হেরোইন গাঁজা ও ইয়াবা সহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মরণনেশা দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করছে। তাঁর মতে, বিজিবি যদি সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাহলে এর প্রবনতা কমে আসবে।

বাঘা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো: খায়রুল ইসলাম জানান, বাঘা সীমান্তবর্তী এলাকা । এখানে মাদকের ব্যাপক প্রবনতা রয়েছে। যা রোধ করা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয় । এ জন্য অন্যান্য বাহিনী-সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হলে মাদক নির্মূলের কোন বিকল্প নাই।


প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ | সানশাইন