পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার এর দূরদৃষ্টিতায় বদলে গেছে চারঘাট-বাঘার জীবনমান

নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন কোন এলাকা নেই। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের নতুন ভবন নির্মান,কালভাট-বীজ,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ, ভাঙ্গন রোধে ব্লক নির্মান ও নদী ডেজিং সহ বানেশ্বর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা জনজীবনে এনে দিয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। আর এ গুলোর সবকিছু সম্ভভ হয়েছে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কারনে।

স্থানীয় লোকজন জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় ঘটছে একের পর এক উন্নয়ন। সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম তাঁর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মেধাকে কাজে লাগিয়ে এই দুই উপজেলাকে মডেল উপজেলাতে রুপান্তরিত করেছেন। এখানকার আম, পেয়ারা ও বরই এখন ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। যা বিগত দিনে কেউ পারেনি। সবমিলে এ অঞ্চলের জনসাধারণের জীবনমান বদলাতে তার যে অবদান সেটি অনস্বীকার্য।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট-বাঘায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, ভকেশনাল ও মাদ্রাসা মিলে প্রায় ২৮০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমান সরকার আমলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানেই নতুন-নতুন ভবন নির্মান সহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে প্রাচীর নির্মান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইমারী স্কুলের দৃষ্টি নন্দন ভবন সবাইকে আকৃষ্ট করবে। এছাড়াও রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। বাঘা-চারঘাট হয়ে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর সড়ক এক সময় ভোগান্তির সড়ক হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বর্তমানে সেই সড়ক এখন চার লেনের হাইওয়েতে পরিনত হতে চলেছে। এর ফলে সহজেই মানুষ বাঘা থেকে ঈশ্বরদী যেতে পারবে। এছাড়াও বাঘা থেকে নিয়মিত ঢাকা কোচও এ রাস্তা হয়েই চলাচল করে।

অপর দিকে ভাঙ্গন রোধে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে কাজ চলছে ব্লক নির্মান ও নদী ড্রেজিং প্রকল্প। এতে করে দৃষ্টি নন্দন এলাকায় পরিনত হতে চলেছে নদী তীরবর্তী অঞ্চল। ইতোমধ্যে বাঘা উপজেলার দুর্গম এলাকা পদ্মার চরাঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছে পাকা রান্তা এবং পৌছে গেছে বিদ্যুৎ । এখন শুধু বাঁকি একটি ব্রীজ নির্মান। সেটিও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান চাকরাজাপুর(চরাঞ্চলের) চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান।

বাঘার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন বলেন, এক সময়ে রাস্তাঘাটের অভাবে যে সব এলাকায় মানুষ চলাচলই করতে পারতো না সেখানে এখন পিচ ঢালা রাস্তা । বিশেষ করে বাঘার ৭ টি ইউনিয়ন এবং ২ টি পৌরসভা-সহ উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান একে বারে বদলে গেছে। আর এ গুলো সব কিছুই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকার আমলে। তিনি বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য একজন মন্ত্রী হওয়াতে আমরা একটু বেশি সুবিধা পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মনে স্থান দখল করে নিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এদিকে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমাদের সরকার আমলে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। এ সরকার এ বাংলাদেশকে নিম্ন আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেছে এবং আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ উচ্চ আয়ের দেশে পৌছা সহ স্মাট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যে নিজেস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান করে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এর বাইরে রয়েছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রো রেল এবং পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র-সহ আরো অনেক প্রকল্প।

তিনি স্থানীয় সাংসদ সম্পর্কে বলেন, আমার জন্মের পর গত ১৪ বছরে চারঘাট-বাঘায় যে উন্নয়ন দেখেছি তা বিগত কোন সরকার আমলে হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের সাংসদ তাঁর নিজেস্ব অর্থায়নে বাঘায় মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মান সহ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করণ এবং একটি পৌর সভা ও দুটি ইউনিয়নের ভবন নির্মানের জমি দান করে সর্বস্তরের মানুষের মনে স্থান দখল করে নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আগামী জাতীয় নির্বাচনে শাহরিয়ার আলমকে এ অঞ্চলের মানুষ আবারও মুল্যায়ন করবেন।


প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ | সময়: ২:১৮ অপরাহ্ণ | সানশাইন

আরও খবর