সর্বশেষ সংবাদ :

ডাবলু সরকারকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার : নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে দল অপসারণের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। রোববার মহিষবাতান এলাকায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘রাজশাহী আওয়ামী পরিবার’ -এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার একই দাবিতে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে একই কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের কর্মসূচীতে ডাবলু সরকারের ভাই নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার ওরফে সেডু সরকার নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে হামলা হয়। এ সময় তারা ব্যানার কেড়ে নিয়ে ধাওয়া দিয়ে কর্মসূচীর পন্ড করে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজশাহীর পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে আদালত চত্বর ঘুরে কোর্ট বাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে ডাবলু সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে অপসারণে নানা স্লোগান দেয়া হয়।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যানারে আগের মতোই লেখা ছিল, ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’
আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত রাজনীতির দুষ্ট ক্ষত ডাবলু সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ আর নেতাকর্মীদের হাতে থাকা ফেস্টুনে ডাবলুর ছবিতে ক্রসচিহ্ন দিয়ে লেখা ছিল, ‘নির্বাচনের বছরে দল বিব্রত হয়, এমন কাউকে দলে এক সেকেন্ডও রাখা যায় না’।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আইনজীবী ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু রায়হান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় দেখতে চাই। এ কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব রাজাকার পরিবার ঢুকে পড়ে কুরুচিপূর্ণ কাজ করে দলকে নষ্ট করছে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার এই নৈতিক স্খলন যদি আমরা মেনে নিই, তাহলে আগামী দিনে বিরোধী দল আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। তাই আমরা চাই ডাবলু সরকারের শাস্তি হোক।’
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রনেতা শোভা সরকার, কৃষক লীগ নেতা মেহবুব রশীদ বাবু, মো. মোবাশ্বের, সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান বুলবুল, আবদুল হালিম, মো. উজ্জ্বল প্রমুখ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি অশ্লীল ভিডিও নেট দুনিয়ার জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন লোকজনের কাছে হোয়াটসঅ্যাপেও পাঠানো হয় ভিডিওটি। এ ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরের বোয়ালিয়া থানায় ডাবলু সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেন, একটি অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে কে বা কারা তাঁকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এডিটিংয়ের মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ডাবলু সরকারের সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে।


প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩ | সময়: ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ