সর্বশেষ সংবাদ :

মজুরী বাড়ছে কৃষি শ্রমিকের

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারায় কৃষি শ্রমিকের মজুরী বেড়েই চলেছে। উচ্চ মজুরী দিয়েও এখন শ্রমিক মিলছে না। শ্রমিক না মিলায় স্থানীয় কৃষকরা ঠিকমত চাষাবাদ করতে পারছেন না। শ্রমিক সংকটের কারণে এ পেশায় এখন পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশ গ্রহন বাড়ছে।
পখাজ নিয়ে জানা গেছে, এবার চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাগমারায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে বোরো চাষের সেচ সার বীজ সহ আনুসাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে কৃষকরা। সেই সাথে বেড়ে গেছে শ্রমিকের মজুরী। এলাকার কৃষি শ্রমিকদের এখন দুইবেলা খাবার ও ৫শ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ২০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। অধিকাংশ কৃষকরা স্থানীয় ভাবে নিজেদের উৎপাদিত বোরোর চারা রোপণ করছেন। তবে বাজারেও স্বল্প দামে মিলছে ভালো মানের চারা।
বাসুপাড়ার কৃষক জাহেদুর রহমান জানান, তিনি এবার সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ শুরু করেছেন। তিন বিঘাতে ইতিমধ্যে চারা রোপণ কাজ শেষ করেছেন। তার মতে, বোরো চাষের খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরী। তার মতে বাড়তি মজুরী দিয়েও এখন প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও চাষাবাদ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
তার মতে, বোরো চাষের জন্য প্রযোজনীয় সারের এখন পর্যন্ত কোন সংকট দেখা দেয়নি। তবে আপদকালে যাতে ইউরিয়া সারের কোন সংকট না হয় তার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জেলার বিএডিসি গোডাউনে পর্যাপ্ত সার সংরক্ষণের দাবী জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষকরা সকাল থেকেই বোরোর চারা রোপণে ব্যস্ত থাকেন। এবার বোরোর আবাদ এই উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।


প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ | সময়: ৬:১০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর