রাজশাহীতে সাড়ে ৩ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৭ জনকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ৩৭ হাজার ৭১৯ জন। যারমধ্যে রাসিকে ৮হাজার ২৭৪ ও জেলায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জন। আর ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৩৮জন। যারমধ্যে রাসিক ৫৫ হাজার ৯৪৮ শিশুকে এবং জেলায় ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯০ জনকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। দুপুরে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এএম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু।
এদিন সকালে রাজশাহী বিভাগীয় সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে জেলা ভিত্তিক পৃথক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন এমওসিএম ডা. এসএম বায়োজিদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুর রব সিদ্দিকী, ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট কুস্তুরী বেগম, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক এস খয়ের আলী।
উভয় সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শিশুদের রাতকানা, হাম, দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া, মারাত্মক অপুষ্টি থেকে রক্ষা করতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করছে সরকার। এ দিবসে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ সবলভাবে বেড়ে উঠতে সরকারের এ কার্যক্রম সফল করতে হবে। কোনো শিশু যেন এ কার্যক্রমের আওতায় বহির্ভুত না থাকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নে রাসিকে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় ৪৯১টি কেন্দ্রে ৯৮২জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা, মাইকিং, মসজিদে জুমার নামাজের আগে মসজিদের ইমাম/খতিবের মাধ্যমে মুসল্লিদের অবহিতকরণ এবং অন্যান্য উপাসনালনের মাধ্যমেও একই বার্তা পাঠানো হয়েছে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ