সর্বশেষ সংবাদ :

মান্দায় বাণিজ্যের অভিযোগে নিয়োগবোর্ড ভণ্ডুল

মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় অর্থ বাণিজ্যে অভিযোগ এনে কর্মচারি নিয়োগের জন্য গঠিত বোর্ড ভণ্ডুল করে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পিকেএ (পারসিমলা-কালুপাড়া-আবিদ্যপাড়া) উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়োগবোর্ডের আগেই অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে সাতবাড়িয়া এলাকার এক প্রার্থী এবং অফিস সহায়ক পদে দাসপাড়া এলাকার আরেক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। এর পর যোগসাজসী বোর্ড গঠন করেন তিনি। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বোর্ড স্থগিত করে সটকে পড়েন নিয়োগকর্তারা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পিকেএ উচ্চবিদ্যালয়ের জন্য অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্মী পদে নিয়োগের জন্য গতবছরের ২৬ আগস্ট দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব পদে নিয়োগ পেতে এলাকার একাধিক প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজ রোববার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগবোর্ড আহবান করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে এলাকার একাধিক প্রার্থী আবেদন করেন। যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন না করে বিদ্যালয় থেকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দুরের এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
অন্যদিকে দাসপাড়া এলাকার আরেক প্রার্থীর কাছ থেকে একইভাবে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয় প্রকাশ হয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করে যোগসাজসী নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে পিকেএ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নিয়োগবোর্ডের আগেই প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্থানীয় লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় নিয়োগবোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। মান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ শাহ আলম বলেন, টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে নিয়োগের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩ | সময়: ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর