সাকো এনজিওর কথিত দুই কর্মকর্তা আটক

পোরশা প্রতিনিধি: প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কথিত এনজিও সাকোর দুই কর্মকর্তাকে আটক করেছে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাটের সদসরা। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নওগাঁর পোরশা সরাইগাছি বাজার এলাকা হতে ঋণ ও মুনাফা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে কথিত সাকো এনজিওর কর্মকর্তারা পালিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মাসুদ রানার নেতৃত্বে সরাইগাছি বাজার এলাকা হতে তাদের আটক করেন।
আটকরা হলো, কথিত এনজিও সদস্য উপজেলার কালাইবাড়ি গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৯) ও সরাইগাছি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৭)। র‌্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, প্রতারক মাসুদ রানা, জহুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জল হোসেন সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে সাকো নামে একটি এনজিও খোলেন।
এরপর তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফ ডি আর খুলে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন। শুরুতে কিছু ব্যক্তিকে প্রথম দুই এক মাস মুনাফা প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করেন।
এরকম ভুক্তভোগীদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন, আমিনুল ও আমানুল্লাহ সাকো এনজিওকে সাড়ে দশ লাখ টাকা এই মর্মে প্রদান করে, প্রতি মাসে তাদের এক লাখে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরপর কথিত সাকো এনজিও’র এমডি মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে গেলে তারা টাকা প্রদানে টালবাহানা শুরু করেন। পরে আসল টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে কালক্ষেপণ করেন এবং আর টাকা ফেরত দেয়নি।
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলার সাপাহার ও পোরশার প্রায় আট দশ জন ভুক্তভোগী র‌্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে এসে তাদের সাথে সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব।
১৩ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-৫ নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে সাকো এনজিওর এমডি মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে পালিয়ে যাবে। র‌্যাব-৫ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে। পরে সরাইগাছি বাজারে গিয়ে হাতে নাতে জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ সাকো এনজিওর এমডি মাসুদ রানা ও তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করা হয়।
তবে নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলাম র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নওগাঁ পেরশা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এবিষয়ে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, সাকো এনজিওর আটক দুই আসামীকে বুধবার আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩ | সময়: ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ