পবায় রাতে অবৈধ পুকুর খননের দায়ে ৪টি মেশিন জব্দ, আটক ১

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলায় আবারো শুরু হয়েছে অবৈধ ভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। আগে দিনের বেলায় পুকুরখনন হলেও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে এখন খনন হচ্ছে রাতে।
এমতাবস্থায় রাতে অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামে পবা উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অভিজিত সরকার এর নেতৃত্বে দুইটি পৃথক অভিযান চলে রাত ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত।
প্রথমে অভিযান শুরু হয় পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কাপাসমুড় এলাকায়। সেখানে একজনকে আটক করে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যরা অভিযানের কথা শুনে পালিয়ে যায়। আটককৃত ব্যক্তি হলেন পারিলা ইউনিয়নের ঘোলহাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ আব্দুল বারীক (২৭)।
এসময় পুকুরখননের কাজে ব্যবহৃত ৩টি এক্সভেটর (মাটি কাটা) মেশিন জব্দ করা হয়। পারিলা ইউনিয়নে অভিযান শেষে একই রাতে আবার অভিযান শুরু হয় পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নে। অভিযানের খবর পেয়ে সেখান থেকেও পুকুর খননকারীরা পালিয়ে যায়। পুকুর খননের স্থানে থাকা এক্সভেটর মেশিন জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অভিজিত সরকার বলেন, “পূর্বে এগুলো পুকুর অবৈধভাবে খনন করা হতো দিনের বেলায়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের পবা উপজেলা প্রশাসন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকায় পুকুর খননকারীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। এখন গভীর রাতে পুকুর খনন করছে যাতে আমরা খবর না পাই। আমরা সেই প্রথম থেকেই পবা উপজেলায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি।
তিনি বলেন পবা উপজেলায় কোনক্রমেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। আমরা খবর পায় রাতের আধাঁরে পুকুর খনন চলছে কয়েক জায়গায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সেখানেই অভিযানে যাই। এর আগেও বড়গাছি ইউনিয়নে, পারিলা, দর্শনপাড়া, দামকুড়ায় অভিযান চালিয়েছি এবং সেখানেও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মাটিকাটা মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এতকিছু করার পরেও কোনক্রমেই পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না। তবে পুকুর খননকারীরা যতই চালাক ও শক্তিশালী হোক না কেন পবা উপজেলায় কোনক্রমেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। পবা উপজেলা প্রশাসন কঠোর হাতে পুকুর খনন রোধ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ”।