বড়াইগ্রাম হাসপাতালে স্মৃতিহারা এক যুবক

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামে পাঁচদিন যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক হতভাগ্য যুবকের কোন পরিচয় মিলছে না। তার মুখের বাম পাশে এবং হাতে হাল্কা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসাধীন ওই যুবক কোন কথা কথা বলতে পারছেন না। এতে তার অসুস্থতার কারণ এবং পরিচয় জানা সম্ভব হচ্ছে না। এতে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবককে নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে বনপাড়া মিশন মার্কেট এলাকার পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান ওই যুবককে মার্কেটের বারান্দায় শুয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও কোন সাড়া মেলেনি। পরে তিনি তাকে কম্বল দিয়ে শুইয়ে রাখেন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে এবং পরে শুক্রবার দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের সেবিকা রোজিনা খাতুন জানান, গত চারদিন ধরে ওই যুবক এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তিনি কোন কথা বলা বা সাড়া দেয়ার মতো অবস্থায় নেই। এমনকি কোন কিছু খেতেও পারছেন না। শুধু কিছুক্ষণ পর পর দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে দেখা যাচ্ছে। তার শরীরে একটি সাদা কালো গেঞ্জি ও ছাই রঙের একটি জ্যাকেট রয়েছে। এছাড়া মাথায় কালো রঙের শীতের টুপি আছে।
তাকে হাসপাতালে ভর্তিতে সহায়তাকারী মিজানুর রহমান জানান, ঠিক কিভাবে তিনি অসুস্থ হয়েছেন তা জানি না। তিনি এই এলাকার মানুষও না। কেউ তাকে মারপিট করেছে না কোন গাড়ির ধাক্কা লেগেছে বোঝা যাচ্ছে না। তবে তাকে দেখে আমার প্রতিবন্ধী মনে হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খুরশিদ আলম জানান, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় রয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে এমনটি হতে পারে। আমরা তার শরীরে স্যালাইন পুশ করাসহ তরল খাবার দিচ্ছি। পাশাপাশি তাকে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ