ইউএনওর নামে ৪৪ কেজি মাংস নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় পুলিশ সেজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মো. আনাছের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক চক্র স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে প্রতারণা করে ৪৪ কেজি গরুর মাংস নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
পুঠিয়া থানার ওসি ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. হান্নান থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বানেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বিড়ালদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এরপর শনিবার মাংস বিক্রেতা আওয়ামী লীগ নেতা মাংসের দাম চাইলে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
অভিযোগপত্রে মাংস বিক্রেতা হান্নান উল্লেখ করেন, শুক্রবার সকালে অটোরিকশায় করে আমার কসাইখানায় এসে দুজন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন। তারা বারবার আমার শরীরে লাইট মারেন এবং বলেন ইউএনও স্যার মাংস নিতে আমাদের পাঠিয়েছেন। তার বাসভবনে একটি ছোট অনুষ্ঠান আছে। ৫০ কেজি গরুর মাংস লাগবে এবং একজন কসাই আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। স্যারের বাসভবনে গিয়ে মাংসগুলো ছোট ছোট সাইজ করে দিতে হবে। আর কাজ শেষে বিল পরিশোধ করা হবে। পরে জবাইকৃত গরুর একটি অংশ ৪৪ কেজি কসাইসহ তাদের সঙ্গে অটোতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও উল্লেখ করা হয়, মাংসের দাম ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর ওই দুই ব্যক্তি পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে একজন বলেন, আমি মাংস নিয়ে স্যারের বাসভবনে যাব। অপরজন বলেন, টাকা থানা থেকে দেওয়া হবে। টাকা আনতে ওই কসাইকে থানায় পাঠিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শুক্রবার রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতারক চক্রকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মো. আনাছ বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণা করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।