সর্বশেষ সংবাদ :

যে ব্যক্তি মানুষকে নেশা করতে উদ্বুদ্ধ করে , আমরা তাকে পৌর সভায় চাইনা

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : যে ব্যক্তি মানুষকে নেশা করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং নিজে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি থাকে এ রকম নেতা আমাদের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বক্তব্য রেখেছেন বাঘা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার(১৬-ডিসেম্বর)সকালে ভ্যান চালকদের নিয়ে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সকাল সাড়ে ১১ টায় বাঘার ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠে উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, যে ব্যাক্তি দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয় সে জনগণের সেবক হতে পারেনা। আমাদের এখানে প্রকৃত অর্থে একজন মানবতার সেবককে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত করতে চাই।

এর আগে উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম মুন্টু ভ্যান চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা অতিত ইতিহাস ভুলে যাবেন না। আজকে যিনি নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তিনি সীমানা বাড়ানোর অজুহাতে পাঁচ বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রায় 13 বছর ক্ষমতায় থেকে পৌর করের নামে আপনাদের কাছ থেকে জুলুম-নির্যাতন করে পৌর কর (ট্যাক্স) আদায় করেছে। এ ছাড়াও অসংখ্য অনিয়ম-দুর্ণীতি করে পৌর বাসির ভাগ্য উন্নয়ন না করে নিজের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন। যার কারনে গত বছর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরেও আমরা তকে নির্বাচিত করতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এ ভুল আর করা যাবে না। এলাকার উন্নয়ন পেতে হলে আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন। নৌকার বিজয় হলে শুধু রিক্সা-ভ্যান নয়, সকল পরিবহন থেকে টোল আদায় বন্ধ করা হবে।

সবশেষে নৌকার মাঝি শাহিনুর রহমান পিন্টু আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে একজন মাতাল এবং লুটেরাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, যে ব্যাক্তি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি থাকে, মঞ্চে মদ্যপান করে টলতে-টলতে শিক্ষার্থীর গায়ের উপর পড়ে যায়, আপনারা দয়া করে তাকে ভোট দিবেন না। এলাকার উন্নয়ন পেতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। কারণ নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক।

শাহিনুর রহমান আরো বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে অনেকেই অবগত হয়েছেন গত ১3 বছর বাঘা পৌরসভার দায়িত্ব পালন কালে ঐ ব্যাক্তি কতটা সম্পদের মালিক হয়েছেন। যারা জানেন না, তারা শুনে রাখেন । তিনি ঢাকায় ২ কোটি টাকা দিয়ে দু’টি ফ্ল্যাট ক্রয় সহ শশুর এলাকায় অনেক জায়গা জমি ক্রয় এবং নিজের পৈত্রীক ভিটাতে আধা-পাকা বাড়ী ভেঙ্গে দ্বিতীয়তলা আলিশান বাড়ি বানিয়েছেন। তার নামে বাংলাদেশ দূর্ণীতি দমন কমিমন দু’দকে ১০ কোটি টাকা অর্থ আত্নসাত ও বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাক।

শাহিনুর রহমান তাঁর উন্নয়ন দৃশ্যমান উল্লেখ করে বলেন, আপনরা যদি আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন তাহলে আমি আমার সম্মানী ভাতার সমুদ্বয় অর্থ শিক্ষা খাতে ব্যায় করবো। আমি প্রতিবছর দু’জন ধর্মপ্রান গরিব মুসল্লীকে হজে পাঠাবো, আপনাদের পৌর ট্যাক্স দিতে হবেনা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করবো। আমি আপনাদের ভালোবাসায় একজন সেবক হতে চাই। আমি এই পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর সভায় রুপ দিতে চাই। আমার কাছে গত ৫ টি বছর কেউ কোন দাবি নিয়ে গেলে আমি কাউকে খালি হাতে ফেরাইনি। আমি পৌর মেয়র হওয়ার জন্য এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের প্রিয় নেতা শাহরিয়ার আলম আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে সম্মানীত করেছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসায় এ সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে চাই।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ | সময়: ৩:১৯ অপরাহ্ণ | সানশাইন