মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি বীমা কর্মী উদ্ধার, দুই নারীসহ পাঁচজন আটক

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামে আলমগীর হোসেন (২৯) নামে নামে এক যুবককে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবী করেছিল অপহরণকারীরা। শনিবার রাতে নাটোর জেলা গেয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের নওপাড়া বালিয়া এলাকা থেকে জিম্মি যুবককে উদ্ধার করেছে।
ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে দুই নারী সহ পাঁচ জনকে আাটক করেছে ডিবি। উদ্ধারকৃত যুবক আলমগীর হোসেন নাটোর সদর উপজেলার বারুহাট গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাফিউল ইসলাম (৩৩), আহম্মেদপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (৩০), নওপাড়া বালিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০) ও আলিফ শেখের স্ত্রী সোহাগী বেগম (৩০) এবং জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের মারুফ হোসেনের স্ত্রী প্রিয়াংকা খাতুন (১৯)।
নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু সাদাত জানান, আলমগীর হোসেন শনিবার আহম্মেদপুর এলাকায় পেশাগত কাজে গেলে প্রিয়াংকা নামের নারী বীমা করার কথা বলে তাকে বালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আরো ৪-৫ জনের সহায়তায় তাকে জিম্মি করে অপহরণকারীরা। তারা আলমগীরকে বেধড়ক মারপিট করে স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকাগুলো দ্রুত বিকাশ নম্বরে দিতে বলে। অন্যথায় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন স্বজনরা।
এরপর তারা বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আহম্মেদপুর বাজারে বিকাশের দোকানটি সনাক্ত করে সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে নওপাড়া বালিয়া ব্রিজ এলাকার আলিফ শেখের বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্য অপহরণকারীদেরও গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার বড়াইগ্রাম থানায় আটককৃতদের নামে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের আদেশে তাদের নাটোর জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২ | সময়: ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ