সর্বশেষ সংবাদ :

ইতিহাস গড়া মিরাজের হাতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার

স্পোর্টস ডেস্ক: এই ম্যাচে ৩৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেতে পারেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে ব্যাট হাতে করতে পারেন ২৯ রানও। কিংবা এই ম্যাচে ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিতে পারেন এবাদত হোসেন। যে দুটি বোলিং পারফরম্যান্সের কারণে ৪১.২ ওভারেই অলআউট ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের দল। তাও মাত্র ১৮৬ রানে।
এই ম্যাচে লোকেশ রাহুল ৭৩ রান করতে পারেন। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ভারতকে লড়াকু স্কোরের পুঁজি তৈরি করে দিতে পারেন। কিংবা এই ম্যাচে ৪১ রান করে বাংলাদেশের সূচনাটাও সুন্দর করে দিতে পারেন। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ যা করেছেন তা তো অবিশ্বাস্য! ভারতীয়রা বাংলাদেশকে যেভাবে চেপে ধরেছিল, তাতে রোহিত শর্মারা কত রানে জিততে পারে সেটাই গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেক দর্শক হয়তো মাঠ ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কেউ কেউ বেরও হয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটার পারফরম্যান্সে বিরক্ত হয়ে।
কিন্তু ভোজবাজির মতো এভাবে পাশার দান উল্টে দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তা ক’জন ভাবতে পেরেছিলেন! মিরাজও নিশ্চয় নয়! নন-স্ট্রাইকপ্রান্তে মোস্তাফিজুর রহমানকে দাঁড় করিয়ে রেখে, সিঙ্গেলস কিংবা ডাবলস না নিয়ে, একটি-দুটি বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পরিসংখ্যানে তার পারফরম্যান্স লেখা থাকবে ৩৯ বলে ৩৮ রান! কিন্তু কী পরিস্থিতিতে, খেলার কী অবস্থায় মিরাজ এই রান করেছিলেন, তা পরিসংখ্যানের পাতায় না হলেও লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। সঙ্গে ম্যাচের বিচারকরা মেহেদী হাসান মিরাজকে সেরার পুরস্কারে ভূষিত করে যেন নিজেরাই সম্মানিত হওয়ার গৌরব লাভ করলেন!
এমন একটি পারফরম্যান্সের পর সাকিবের ৫ উইকেট প্লাস ২৯ রান, এবাদতের ৪ উইকেট কিংবা লোকেশ রাহুলের ৭৩ রানের ইনিংস- সবই ম্লান হয়ে গেলো। যথাযোগ্যভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি উঠে গেলো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। প্রসঙ্গত বল হাতে একটি উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জন্য প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন তিনিই।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২ | সময়: ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ