এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মামলায় ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘার এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রতারণা মামলায় ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাজশাহীর নগরীর বাসস্ট্যান্ড এলাকার পূবালী মার্কেটের একটি রুমে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি আরাফাত সাইদ নামে ওই শিক্ষার্থী। আরাফাত বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে। বাগমারা থানার একটি বিকাশ প্রতারণার মামলাকে পুঁজি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরান তাকে বিভিন্নভাবে মামলায় ফাঁসানো সহ হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরাফাত বলেন, বর্তমান আমার এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। ২০১৮ সালের বাগমারা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। যার মামলা নং ১০/২২। ওই মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের সবার বাড়ি আমার এলাকায়। আসামীর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে এবং সমবয়সী হওয়ায় মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আল-ইমরান আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেই জায়গায় আমাকে আসামি করবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভিতি প্রদর্শন করছেন। এছাড়াও পরপর ২ দিন মাঝরাতে পুলিশ আমার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। দাবি করে মোটা অংকের টাকা। টাকা না দিলে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এসআই আল ইমরান ইতোমধ্যে আমার এক পরিচিতের মাধ্যমে বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে আমার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগেই গ্রেপ্তার করবেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে আমাকে যে কোন সময় আটক করতে পারবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। বাগমারা থানার এসআই আল-ইমরান আমার পরিবারের কাছ থেকে বারবার ফোন দিয়ে এডিশনাল এসপি এবং বাগমারা থানার ওসি সহ ৩ জন কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছেন। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর রাত ১০ টা দিকে এসআই আল ইমরানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার (০১৭৫২৪০৪৬১২) থেকে আমার শশুর আসাদুল ইসলামের (০১৮১৬৭০০১৮৩) নাম্বারে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে চান। টাকা না দিলে উক্ত মামলায় আমার নাম ঢুকিয়ে দিবে বলে হুমকি দেন এবং পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছেন। আমার পরীক্ষা বাতিলসহ নানা ভয়ভীতির কারণে পরিবারের লোকজন খুব চিন্তিত। এতে তিনি চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলেও জানান।
বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই ইমরানের সাথে সাথে কথা বলে হলে তিনি বলেন, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, তাহলে আর কিছু বলার নাই। আমি শহরে গেলে আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো। রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা সাথে সাথে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি এবং বাগমারা থানা থেকে প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে নেয়া হয়েছে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২ | সময়: ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর