কেচুয়াতৈলে সেই জমির সমস্যা সমাধানে কমিশনের মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার: পবার কেচুয়াতৈল এর সেই বিরোধকৃত জমির সমস্যা সমাধানে আদালত এডভোকেট নাসির উদ্দিনকে কমিশনার করে তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন। কমিশন প্রধান বাদি ও বিবাদি পক্ষের আইনজীবীদের সাথে নিয়ে শনিবার অত্র সম্পত্তিতে যান এবং অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনগণের সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
জমির আর.এস খতিয়ান নং-২৪১, আর,এস দাগ নং-১৩৬৮, রকম আম বাগান, পরিমান ১দশমিক ২১ একর ও আর,এস খতিয়ান নং-২৪১, আর,এস দাগ নং- ১৩৭১, রকম আম বাগান, পরিমান-দশমিক ৭৮ একর, মোট ১ দশমিক ৯৯ একর।
জানা যায়, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা চলে আসছে। এ অবস্থা থেকে নিরসন করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জমির মালিক দাবীদার নগরীর দরগাপাড়ার মৃত দৌলঙ্গীর ছেলে শফিকুল ইসলাম সাফিক বলেন, এই জমি তিন বছর পূর্বে তিনি মাস্টারপাড়ার আব্দুল হান্নান দিগরের নিকট থেকে ক্রয় করেন। আব্দুল হান্নান হাইকোর্ট থেকে মামলায় ডিক্রি পাওয়ার পরে তার নিকট বিক্রি করেন। সম্পত্তি ক্রয় করার পরেই খাজনা খারিজ করেছেন। বাংলা হালসন নাগাদ খাজনা পরিশোধ করা আছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, জমি ক্রয় করে খারিজ করার পর চারিদিকে বাঁশের বেড়া দেন। সে বেড়াগুলো এস.এম ওমর ফারুক গংরা তুলে ফেলেন। এ নিয়ে একটি মামলা করা হয়। সে মামলা চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এডিসি থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে মামলা করে জয়লাভ করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালে ফারুক এ জমি নিয়ে কোন প্রকার মাথা ঘামায়নি। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে মামলায় ডিক্রি পাওয়ার পরে তিনি এই জমি দখল করার পাঁয়তারা করছেন। সাফিক বলেন. তার জমির পশ্চিম পাশে ফারুকের ৭-৮বিঘা জমি রয়েছে। ঐ জমির সাথে তার জমি দখল করে প্লট বাড়ানোর চেষ্টা করেন ফারুক। নিজে দখল করতে না পেরে তড়িঘড়ি করে একটি ভূয়া কমিটি বানিয়ে ঈদগাহের নামে জমিটি দখর করার পাঁয়তারা করছে। সকল মামলায় তিনি রায় পাবেন বলেন জানান শাফিক জানান।
এ বিষয়ে এস.এম ওমর ফারুক বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই জমির উপর তাদের পূর্ব পুরুষগণ ঈদগাহ বানিয়ে ঈদের নামাজ ও জানাযার নামাজ আদায় করছেন। এছাড়াও এখানকার ছেলে মেয়েরা এই মাঠে খেলাধুলা করেন দখলীসূত্রে এখানে বাউন্ডারী ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে। জনগণের স্বার্থে এই জমি কাউকে দখল করতে দেয়া হবেনা বলে জানান ফারুক।
এ দিকে শাফিক এর পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তিনি আইনী লড়াই লড়ছেন। শাফিক এর পক্ষে সকল প্রকার কাগজপত্র রয়েছে। ফারুক এই জমি তার বলে দাবী করছেন এবং ঈদগাহ এর বাউন্ডারী অনেক পুরোনো বলে দাবী করলেও প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে এই বাউন্ডারী ২০২০ সালের মার্চে মাসের শেষের দিকে তৈরী শুরু করে। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় ২৮ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও পরের দিন অনেক পত্রিকাতেও আসে। আসলে ফারুক ও সঙ্গীরা যে বক্তব্য কমিশনের উপস্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা বলে দাবী করেন তিনি। সেইসাথে কমিশনের প্রতিবেদন প্রদানের পর সকল প্রকার তথ্যাদি তিনি আদালতে পেশ করবেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদেও পক্ষেই রায় দেবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে বাদী ফারুকের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, বহিরাগতরা জোরপূর্বক এই জমি দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক প্রতিবেদন দেখে তাদের পক্ষে রায় দেবেন বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ | সময়: ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ