সর্বশেষ সংবাদ :

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার : জেল হত্যা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধায় রাজশাহীতে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নগরীতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খতম, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, মানবভোজ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর কাদিরগঞ্জে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, পুত্রবধূ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, দৌহিত্র আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, রাবির ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক মো. রেজভী আহমেদ ভূঁইয়া।

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশাল শোক র‌্যালি, কাদিরগঞ্জে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সহ নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগর ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নগর ভবন থেকে বিশাল শোক র‌্যালি বের করা হয়। শোক র‌্যালিটি কাদিরগঞ্জে শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধিস্থলে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে শহীদ কামারুজ্জামানের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাসিকের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। রাসিকের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, কালো ব্যাজ ধারণ, কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ খাবার বিতরণ, সকল মসজিদে দোয়া ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা, প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন, শোক সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শন, কালো পতাকা উত্তোলন, প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের ভাষণ প্রচার করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের ঢাকায় বসবাসরত সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা। একটিই কারণ সেটি হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়া এবং দেশকে আবার পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যে। এরই ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে আমরা দেখি, যখন খুনিচক্র বুঝতে পারে তাদের উদ্দেশ্যে ওই মুহুর্তে বাস্তবায়িত হবে না, দেশ ত্যাগ করার চিন্তাভাবনা তারা করে। সে সময়ে ৩রা নভেম্বর জেলখানায় আবদ্ধ জাতীয় চারনেতাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে সমাজের সকল রীতি-নীতি ভঙ্গ করে রাত্রীবেলায় জেলখানায় সশস্ত্র সেনাবাহিনী খুনি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঠানো হয় এবং তারা সেই জঘন্য হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। চার জাতীয় নেতা জীবনে ও মরণে বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিলেন। এই বেদনাবিধুর দুটি ঘটনা বাংলাদেশকে হয়তোবা একেবারে শেষ করে দিতে পারতো, যদি না আমাদের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল না ধরতেন, ক্ষমতায় না আসতেন, তাহলে দেশ আজকের এই জায়গায় থাকতো না।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডগুলির রায় পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। মানবাধিকারের কথা বলে কানাডা, আমেরিকা ইত্যাদি উন্নত দেশ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না, জাতীয় চার নেতার খুনিরাও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। তাদেরকেও ফেরত আনা যাচ্ছে না-ইত্যাদি নানা ঘটনায় এই বিচারের পথটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি সহসায় কাটবে বলে আমি আশা করি।
তিনি আরো বলেন, ৩রা নভেম্বরকে যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার যে আহ্বানটি এসেছে, আমি মনে করে দলের হাইকমান্ড এটি সুবিচেনায় নিবেন এবং এ বিষয়ে দ্রুতই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবেন।

এদিকে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের কবরে ,শ্রদ্ধা জানাতে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শির্ক্ষাথীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নামে। শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনীল কুমার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সকল থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, মহানগর জাসদ, রাবি ও রুয়েট ও রামেক সহ বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগ।
শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী বিভাগীয় জিএসএম জাফরউল্লাহ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, স্বাচিপ ও বিএম রাজশাহী, বিসিক রাজশাহী, বাংলাদেশ আইনজীবি সংসদ, বঙ্গবন্ধু কলেজ, রাজশাহী কলেজ, মুক্তিযোদ্ধ সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর, নিউ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজ, গণপূর্ত অধিদপ্তর রাজশাহী, বিএমডিএ, অগ্রণী ব্যাংক স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ,রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড অফিসার্স কল্যাণ সমিতি, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় সংস্কৃতায়ান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রধান কার্যালয়, অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতি আঞ্চলিক পরিষদ, সেক্টর কমাণ্ডর ফোরাম মুক্তিযোদ্ধ ৭১ রাজশাহী জেলা ও মহানগর, নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটি রাজশাহী, সোনালী ব্যাংক জিএম অফিস রাজশাহী, রাজশাহী ওয়াসা, সরকারী টিচার্স টেনিং কলেজ রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষ ও গবেষণা পরিষদ রাজশাহী মহানগর, সরকারী আইন কর্মকর্তাবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, উদয়ন নার্সিং কলেজ, রাজশাহী কোট মহাবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী জেলা শাখা, লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়, রাবি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন কলেজ, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সড়ক বিভাগ রাজশাহী, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বরেন্দ্র মিউজিয়াম, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চল, রাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর রাজশাহীর পরিচালক, বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিপলোমা প্রকৌশলী পরিষদ রাজশাহী, উপ-পরিচালক, মাউসি, রাজশাহী অঞ্চল, জেলা শিক্ষা অফিস, রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়, ইলামিত্র সাংস্কৃতিক সংগঠন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারী মডেল কলেজ, দর্শন পাড়া শহীদ কামারুজ্জামান মহাবিদ্যালয় পবা, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সরকারী ডিগ্রী কলেজ, নগর নাসিং কলেজ, বেসিক ব্যাংক রাজশাহী শাখা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা রাজশাহী , ইঞ্জিনিয়ার এন্ড সার্ভে ইনিস্টিটিউট রাজশাহী, রাজশাহী রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিটি ইউনিট, বোয়ালিয়া পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ, রাজশাহী ট্রাক লরি শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি, আমরা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মেডিক্যাল কলেজ শাখা, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি, রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতি সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

মহানগর আওয়ামী লীগ : জেল হত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালী বের করা হয়, খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল।
র‌্যালীটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত থানা আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন এবং নগরীর বিভিন্ন পেশাশ্রেণির ব্যক্তিবর্গ শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, ঢল নামে সাধারণ জনগণের। শহীদ কামারুজ্জামান এঁর সমাধী ফুলে ফুলে ভরে উঠে সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। পুষ্পস্তবক অর্পণ সেখানে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, মহানগরের আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা এবং মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা।
স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, মাহ্ফুজুল আলম লোটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল,স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য নফিকুল ইসলাম সেল্টু, জহির উদ্দিন তেতু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, অ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, এ্যাড. শামীমা আখতারী, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, মাসুদ আহমদ, কে এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনার ও সদস্য সচিব মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।

রাবি : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় কাদিরগঞ্জে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এসময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধতন কমকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সেখানে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন। রাবি শিক্ষক সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক। এতে আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জেল হত্যাকাণ্ডে শহীদ জাতীয় চার নেতা ছিলেন সফল রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কান্ডারী। শিক্ষাজীবনেও তাঁরা ছিলেন কৃতী। তাঁরা দেশকে ভালোবেসে, জাতির কল্যাণে রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছিলেন। সেটাই কাল হয়েছিল। দেশপ্রেমের কারণেই তাদের জীবন দিতে হয়। তাঁদের আদর্শ হয়ে আছে অবিনশ্বর। সেই আদর্শ চর্চার মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান দেখানো হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সবচেয়ে বেশি রক্ত বিসর্জন দিয়ে স্বাধীন হওয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশে। পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষ শাহাদাত বরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যেই দেশদ্রোহীরা চক্রান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন তারা নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। কতো বড় বিশ্বাসঘাতক হলে এই কাজটা তারা করতে পারে, যখন বঙ্গবন্ধু তাদের মুক্ত আকাশের নিচে স্বাধীনভাবে বিচরণের পথ করে দিয়েছিলেন। তাই এসব ঘাতকদের দেশে ফিরে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি আজ জোরদার হচ্ছে। আমরাও এই দাবি জানাই।
জেলহত্যার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, দেশদ্রোহীরা বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পর এই চার নেতা দেশের হাল ধরবেন। তাই পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তের নীল নকশা তৈরি করে জেলখানায় তাদেরকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশবিরোধী অপশক্তিরা। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাই দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দীপ্ত প্রতিজ্ঞার ফলেই আবার দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে পেরেছে। এমনকি শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠছে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির অন্যতম সহযোগী ছিলেন শহীদ জাতীয় চার নেতা। তাঁরা ছিলেন রাজনীতিতে মেধা ও আস্থার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে তাঁরা ছিলেন নিরলস। কোনো প্রলোভনেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির কল্যাণের আদর্শচ্যূত করা যাবে না জেনেই তাঁদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার হীন প্রয়াস চালানো হয়। কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি তাঁদের অবিনাশী চেতনা আজও অবিনশ্বর হয়ে আছে বলেই আজ আমরা শ্রদ্ধার সাথে এই শহীদদের স্মরণ করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, শহীদ জাতীয় চার নেতার আদর্শই ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই তাঁরা আজীবন কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতৃত্বে, তাঁরা ছিলেন সেই নেতৃত্বের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে। স্বাধীন বাংলাদেশেও আমরা দেখতে পাই তাঁদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নেতৃত্বের ভূমিকায়। তাঁদের আদর্শই কাল হয়েছিল। আদর্শের কারণেই তাঁদের জীবন দিতে হয়েছে। জীবন দিয়ে তাঁরা বাঙালি জাতিকে ঋণী করে গেছেন।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। এসময় অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তাবৃন্দ, বিভাগের সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ কামারুজ্জামান স্মৃতি সংঘ, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তালতলি বাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্মৃতি সংঘের আয়োজনে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ জাহিদুল ইসলাম মোল্লা। প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্য আবু জাফর মাস্টার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল আলী খরাদী, সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিষ্ঠানের আহবায়ক আবেদ আলী মোল্লা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রেজাউল হক রাজু।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী মোল্লা, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্জ শাহরিয়ার সরকার বাবলু, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুজন সরকার, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সরদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমূখ।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদদের আত্বার মাগফেরত কামনা করে বিশেষ দোয়া খায়ের করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ আনিসার রহমান সরদার। এর আগে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি: নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতাকে গভীর শুদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও রাজনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবদুল খালেক-এর নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতার অন্যতম রাজশাহীর কৃতিসন্তান জনাব এ.এইচ.এম.কামারুজ্জামানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ: রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকা। প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নাজনীন সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক মোজাফফার হোসাইন এবং বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারিবৃন্দ।
রাকাব: জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, রাজশাহী-এর উদ্যোগে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর কার্যালয় সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হক। এরপর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান-এর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং দোয়া পাঠ করা হয়। এসময় উর্ধতন নির্বাহীগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক, প্রশাসন (চলতি দায়িত্ব) শওকত শহীদুল ইসলা প্রমুখ।
ওয়ার্কার্স পার্টি: জেল হত্যা দিবসে রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেছে মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি। এ উপলক্ষে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এর আগে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপির পক্ষ থেকে সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, সম্পাদকমন্ডলী সদস্য সাদরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ, আব্দুল মতিন, মনিরুদ্দিন পান্না, মহানগরের সদস্য মোশারফ হোসেন, রিয়াজ আহমেদ তুর্কি, আলি আক্তার তপন, আব্দুল খালেক বকুল, সাঈদ চৌধুরী, কাশিয়াডাঙ্গা থানার সভাপতি শামীম ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বাবলুসহ ছাত্র ও যুবনেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলওয়ে শ্রমিকলীগ: এদিন রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিকলীগ সদর দপ্তর শাখার উদ্যোগে দুঃস্থ, এতিম শিশুদের মাঝে খাবর বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহাফিলের মধ্যদিয়ে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটি শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে। এছাড়া জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জানান, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও রেলওয়ে শ্রমিকলীগ রাজশাহী সদর দপ্তর শাখার সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান, কার্যকরী সভাপতি আজিজুল হক, সহ-সভাপতি আইনুল হক, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, দপ্তরের সম্পাদক সত্যব্রত ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ খান সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক গৌরাঙ্গ, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক এমদাদুল হক, অর্থ সম্পাদক শামীমা আক্তারসহ সম্পাদক মাহফুজুল আলম, মেহেদী হাসান, মামুন শহিদুল জিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় রেলওয়ের শ্রমিক লীগের সকল নেতা কর্মীরা।
পবা উপজেলা: জেল হত্যা দিবসে শহীদ জাতীয় চারনেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে ভরে ওঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সমাধিস্থল। এদিন সকালে রাজশাহীর কাদিরগঞ্জস্থ পারিবারিক কবরস্থানে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইয়াসিন আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ এঁর নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মো. পলাশ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ (সাবেক) সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, (সাবেক) প্রচার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, পারিলা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সোহরাব আলী, নওহাটা পৌর আ’লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান, পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম রাজুসহ উপজেলার ইউনিয়ন আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নওগাঁ: জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের সরিষাহাটির মোড়ে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শুরুতেই জাতীয় পতাকা, কালো পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে শোক ও নিরবতা পালন করেন নেতা কর্র্মিরা। পরে আলোচনা সভায় জাতীয় চার নেতাকে গভীর ভাবে স্মরণ করা হয়।
পোরশা: নওগাঁর পোরশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেল হত্যাদিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে নিতপুর দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাদল, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তেতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক শাহ্ চৌধুরী, গাংগুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজুল ইসলাম, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান খোকন সহ আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গোমস্তাপুর: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বিকেলে দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এতে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন, রহনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ. সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম সোনার্দী, জেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমা খাতুন প্রমুখ।
দুর্গাপুর: গভীর শোক আর বিনম্র শ্রদ্ধায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে জাতীয় চার নেতার স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অংঙ্গ সংগঠণের নেতাকর্মীরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, কিসমত গনকৈড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পানাগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহার আলী খাঁ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য প্রভাষক আমিনুল হক টুলু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিমুদ্দিন প্রমুখ।
বাগমারা: রাজশাহীর বাগামরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্মৃতি চারণমূলক বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ত্রান ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা কামাল, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল জলিল মাস্টার, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানার বেগম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর, ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সান্টু, জহুরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় চার নেতার সরণে বৃহস্পতিবার বাঘা উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগর উদ্যোগে এ দিবসটি পালন করা হয়।বিকাল ৪টায় শোক র‌্যালী শেষে উপজেলা সৈনিকলীগ লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিলটনের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কারিগরি শাখা: কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটি শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে সমগ্র বাংলাদেশ। অন্যান্য সংগঠনের সাথে এ দিনটিকে শোক আর শ্রদ্ধার সাথে পালন করছে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কারিগরি শাখা। নগরীর শালবাগানস্থ অস্থায়ী কার্যালয় থেকে জেলহত্যা দিবসের একটি শোক র‌্যালি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে নগরীর কাদিরগঞ্জস্থ জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কারিগরি শাখা ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কারিগরি শাখার সভাপতি মোঃ সুমন হায়দার, সহসভাপতি আজিজুর রহমান, সদস্য মো আসিফ ইকবাল, সদস্য মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সদস্য ভবতোষ রায়সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনী।


প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ | সময়: ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ