সর্বশেষ সংবাদ :

পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিনব কায়দায় চুরি

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিনব কায়দায় চুরি বেড়েছে আশঙ্কা জনক হারে। সেবা নিতে এসে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণ অলঙ্কার চুরি হয়ে যাচ্ছে রোগি ও তাদের স্বজনদের।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগিধরা দালাল ও চোরদের মধ্যে একটি যোগসাজস রয়েছে। বিষয়গুলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল আসছে না।
চিকিৎসা নিতে আসা সাবিনা ইয়াসমিন নামের একজন রোগি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গত মঙ্গলবার বর্হিবিভাগ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হটাৎ দেখতে পাই সাইড ব্যাগ কাটা। আর ব্যাগে থাকা ১২ হাজার টাকা গায়েব। বিষয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে তারা বলেন, থানায় অভিযোগ করতে।
রোখসানা বেগম নামের অপর এক রোগির স্বজন বলেন, গত সপ্তাহে চিকিৎসার জন্য আমার চাচিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। পাশে একটি বেঞ্চে তাকে বসিয়ে আমি টিকেট আনতে যায়। সে সময় বিভিন্ন ক্লিনিক-প্যাথলজির নিয়োগকৃত মহিলা দালাল তাকে ঘিরে ধরে।
এরপর থেকে চাচির গলার চেইন গায়েব হয়ে যায়। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে ৩০-৪০ জন মহিলা পুরুষ দালাল সব সময় অবস্থান করে। তারা চিকিৎসা নিতে আসা রোগিদের অল্প টাকায় পরিক্ষা-নিরিক্ষা করিয়ে দেয়ার প্রলোভনে টানাহেঁচড়া করে। আর সে সময় ওদের মধ্যে কেও সুযোগ বুঝে চুরি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মতিন বলেন, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন হাজারো অসুস্থ্য মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। তবে বর্হিবিভাগে রোগিদের তুলনায় জায়গাটা অনেক ছোট। পুরো জায়গা মানুষের গাদাগাদি অবস্থা থাকে। আর এ সুযোগে মাঝে মধ্যে আগত রোগিদের টাকা-পয়সা গহনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়।
তবে অতিরিক্ত লোকজন থাকার কারণে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও চোর শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে এই বিষয় গুলো আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করি। তিনি বলেন, বিগত সময়ও এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে চুরির ঘটনা অনেকটাই কমে গেছে।
থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, জরুরি কাজে বর্তমানে বাহিরে আছি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চুরির বিষয় গুলো লিখিত ভাবে কেও দিয়েছেন কিনা তা এই মুহুর্তে নিশ্চিত বলতে পারছি না।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২ | সময়: ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর