সর্বশেষ সংবাদ :

বারান্দা থেকে ছাদে উঠতে গিয়ে প্রাণ হারান রাবিছাত্র শাহরিয়ার

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের বারান্দা থেকে পড়ে নিহত এমজিএম শাহরিয়ারের (২৩) মৃত্যুকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দাবি করছেন সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের ভাষ্যমতে, তৃতীয় তলার বারান্দা সংলগ্ন ছাদে লাফ দিয়ে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে যান শাহরিয়ার।
বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
হলের আবাসিক ছাত্র, সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর রুমে থাকতেন শাহরিয়ার। এটি হলের তৃতীয় ব্লকের পূর্বপাশ। কিন্তু তিনি একই ব্লকের একদম পশ্চিম পাশের নিচে পড়ে যান।
শাহরিয়ারের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে হলের তৃতীয় ব্লকে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শোনা যায়। শব্দ শুনে কয়েকজন এসে দেখেন হলের মসজিদের সামনে শান বাঁধানো টিউবওয়েলের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন শাহরিয়ার। তখন কয়েকজন মিলে দ্রুত তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে শাহরিয়ারকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের একজন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে দেখি টিউবওয়েলের পাশে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন তার জ্ঞান ছিল না। সেখানে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পরে আরও কয়েকজনসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নূর নবী বলেন, আমি নামাজ পড়তে হলে যাওয়ার সময় ওপর থেকে কিছু একটা পড়ার শব্দ পাই। সেখানে গিয়ে দেখি একজন পড়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। আমি চিৎকার করলে শিক্ষার্থীরা সবাই ছুটে আসেন।
শাহরিয়ারের বন্ধু মিজানুর রহমান বলেন, শাহরিয়ার আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। এক সঙ্গে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাবে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। সে আসলে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়। তবে সে মাঝেমাঝে হলের বারান্দা থেকে ছাদের দিকে পার হতো। এভাবে পার হতে গিয়ে সম্ভবত পা ফসকে নিচে পড়ে যায়।
জানতে চাইলে হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, তার মৃত্যু আসলে কীভাবে হয়েছে সেটি বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের ব্যবস্থা করব।
মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনার তদন্ত করা হবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ