নিয়ামতপুরে বিষাক্ত কীটনাশকে ৩৩ রাজহাঁসের মৃত্যু

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরের সদর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ফসলের জমিতে ছিটানো কীটনাশক খেয়ে বিদেশী প্রজাতির ৩৩টি রাজহাঁস মারা গেছে। ঘটনাটি ১৫ অক্টোবর সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ঘটে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম গভীর রাতে ধর্মপুর গ্রামে তার নিজ জমির আইলে আগাছা দমনের জন্য বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে। যা এলাকার কেউ জানে না। সে নিজেও কাউকে জানায়নি। সকালে ধর্মপুর গ্রামের গৌর সীলের স্ত্রী তৃপ্তি রানী প্রতিদিনের মত আজও ৩৩টি রাজহাঁস নিয়ে জমির ধারের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে জমির আইলে গিয়ে ঘাস খেলে কিছুক্ষন পর হাঁসগুলি অসুস্থ্য হয়ে যায় এবং সাথে সাথে মারা যায়। তৃপ্তি রানী হাঁসগুলি নিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
তৃপ্তি রানী বলেন, আমি বা আমার পাড়ার কেউ জানে না যে, জমির আইলে বিষ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনের মত আজও আমি ৩৩টি হাঁস নিয়ে জমির পার্শের বাগানে চরাতে নিয়ে যায়। জমি নেট দিয়ে ঘেরা রয়েছে। জমির আইলে হাঁসগুলি ঘাস খেতে গেলে সেখানেই অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। জমির মালিক শরিফুল ইসলামকে বললে বিষ দেওয়ার সে স্বীকার করে। সে আমাকে কিছু ক্ষতিপুরণ দিতে চায়। হাঁসগুলোয় আমার সম্বল। প্রতিটি হাঁসের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৫শ টাকা। সে হিসাবে ৩৩টি হাঁসের নাম আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি আমার জমিতে বিষ দিয়েছি। গতকাল ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর বিষ দিয়েছি। আমার জমি বা জমির আইলে হাঁস যায় নাই। বিষ খেয়ে হাঁস মরে নাই। অন্যকোন কারণে মারা গেছে। আমি বিষ দেওয়ার কোন নমুনা জমিতে দেয় নাই। নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২ | সময়: ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর