রাবি শিক্ষক অধ্যাপক তাহের হত্যা জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত

সানশাইন ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে জাহাঙ্গীরের করা আবেদনের (রিভিউ) পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এ আদেশ দেন।
তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ৫ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে তাহেরের এক সময়ের ছাত্র, পরে বিভাগীয় সহকর্মী মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও তাঁর আত্মীয় নাজমুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহালের রায়ের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। মহিউদ্দিনের আবেদনটি ৪ অক্টোবর চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত করে ১৭ নভেম্বর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
জাহাঙ্গীরের রিভিউ আবেদনটি মঙ্গলবার চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
জাহাঙ্গীরের অন্যতম আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের সাজা কার্যকর স্থগিতের আবেদনও ছিল। চেম্বার আদালত সাজা কার্যকরপ্রক্রিয়া স্থগিত করে পুনর্বিবেচনার আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ১৭ নভেম্বর শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন। ফলে এ সময় পর্যন্ত জাহাঙ্গীরের সাজা কার্যকর স্থগিত থাকবে।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তাঁর ছেলে মতিহার থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত।
রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আসামি সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২ | সময়: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ