ঘরে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ স্বামী পলাতক

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় একটি ঘরের তীর থেকে পাপিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নুরনগর এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলো।
স্থানীয় লোকজন জানান, নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ঝিনাইদাহ গ্রামে। গত আড়াই বছর পূর্বে ঐ নারী দুটি সন্তান সহ তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্জ দিয়ে একই এলাকার অবাইদুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলামকে বিয়ে করে। এরপর প্রথম দিকে তারা সুখী হলেও ইদানিং নানা কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশি এক ব্যাক্তি জানান, বুধবার রাতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুনেছি। এরপর সকালে শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় উড়না পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রী পাপিয়ার (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহৃ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, স্বামীর উপর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
তবে স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, এই নারী স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে প্রায় ২০-২৫ দিন পূর্বে একবার ট্রেনের নিচে মাথা দিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কতিপয় লোকজন। তারা এই ঘটনাকে আত্মহত্যার প্ররচনা বলে উল্লেক করেন। বিশেষ করে স্বামী নজরুল ইসলাম পালানোর কারনে অনেকের কাছে ঘটনাটি রহস্য জনক বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে গৃহবধূর পিতা আমির উদ্দিন জানান, তার মেয়ে আগের স্বামীর কাছে সুখে-শান্তিতেই ছিলো। কিন্তু প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম (৪০) তার মেয়েকে অনেক লোভ-লালসা দেখিয়ে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। তিনি এ ঘটনার জন্য ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ | সময়: ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ