মহাদেবপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পাচ্ছে না কৃষকরা 

মহাদেবপুর প্রতিনিধি

নওগাঁর মহাদেবপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পাচ্ছে না কৃষকরা। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক সময় বেশি দাম দিয়েও চাহিদামত সার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

 

সরকার ইউরিয়া সারের দাম কেজিপ্রতি ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও নির্ধারিত এ দামে সার মিলছে না। কৃষকদেরকে খুচরা পর্যায়ে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে ইউরিয়া সার কিনতে হচ্ছে। টিএসপি, এমওপি সারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এসব সারেও কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। ইউরিয়া সার কৃষকরা সরাসরি ডিলারদের কাছ থেকে নেয়ার কথা থাকলেও ডিলারদের কাছে গিয়ে চাহিদামত সার পাচ্ছে কৃষকরা।

 

শনিবার বিভিন্ন ডিলারের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে সার ক্রেতা কৃষকদের দীর্ঘ লাইন। এদের মধ্যে অনেকেই চাহিদামত সার পাননি বলে অভিযোগ করেন। তেঁতুলপুকুর গ্রামের কৃষক ইউনুসার রহমান বলেন, ডিলারের কাছে সার না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সার কিনতে হয়েছে।

 

ভালাইন গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান, ডিএপি সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রতি বস্তা ৮০০ টাকা হলেও তার কাছ থেকে ১ বস্তা ডিএপি সারের দাম নেয়া হয়েছে ১ হাজার টাকা। বকের মোড়ের গোবিন্দ টেডার্সে প্রতি বস্তা ডিএপি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫০ টাকা বেশি নিয়ে ৯৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন। কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেয়া হলেও মেমোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যই লেখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা সরাসরি সার নেয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ রয়েছে অনেক ডিলার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রি করছেন। এ খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষক পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খুচরা পর্যায়ে দুই একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ পাওয়ায় কৃষকদেরকে সরাসরি ডিলারের কাছ থেকে সার ক্রয় করতে বলা হয়েছে।

 

এ উপজেলায় মাত্র ১২ জন ডিলার রয়েছে। এ ১২ জন ডিলারের কাছ থেকে কৃষকরা সার সংগ্রহ করতে আসায় ভীড় বাড়ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। তবে সারের কোনো সংকট নেই।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কেউ সার বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সানশাইন / শামি

 

 

 


প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২ | সময়: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine