রাজশাহীতে ডিম ও মুরগির দাম বেশি নেওয়ার জরিমানা ১৪ হাজার টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বেশি দামে ডিম ও মুরগি বিক্রি করায় ৪ দোকানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভাউচার না দেওয়া, প্রদর্শিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি করায় জরিমানা করা হয়েছে।
জানা যায়, অভিযানে অতিরিক্ত দামে মুরগি বিক্রি, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, বিক্রয় ভাউচার না দেওয়া, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ মেলে। এ অভিযোগে নগরীর হড়গ্রাম বাজারে অবস্থিত রবিউল মুরগি ঘরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রদর্শিত মূল্য তালিকায় ২৭০ টাকা কেজি সোনালী মুরগি হলেও ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন এই দোকানদার। ১০ টাকা কেজিতে বেশি নেওয়ার দায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া একই বাজারের তাসু স্টোরকে ডিমের মূল্য প্রদর্শিত না করায় ১ হাজার, পিয়ারুল মুরগি ঘরকে ১ হাজার এবং নগরীর ঢালুর মোড়ের রাজা স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ জানান, অভিযানে মোট চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, বাজার নিয়মিত যাচাই করা হচ্ছে। যেহেতু ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে তাই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে নিয়মিত। রাজা স্টোর ৩৮ টাকা হালির সাদা ডিম ১০ টাকা বেশি হিসেবে ৪৮ টাকায় বিক্রি করছে এমন অভিযোগ আসে আমাদের কাছে। অভিযান পরিচালনা করে তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা সতর্ক করা হয়।
এদিকে মূল্যবৃদ্ধির পর থেকেই রাজশাহীর বাজারে ডিমের চাহিদা কমেছে। মূল্যবৃদ্ধির এক সপ্তাহ পর ডিমের হালিতে পাঁচ টাকা কমলেও চাহিদা বাড়েনি। সর্বশেষ খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা বা ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের চাহিদা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রেতারাও ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আগে যেখানে একজন গড়ে প্রতিদিন ৫০০টি ডিম এলাকাভিত্তিক পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিতেন, সেখানে এখন ২৫০-৩০০টি করে নিচ্ছেন।
ডিমের হালিতে পাঁচ টাকা কমলেও ক্রেতারা বলছেন পর্যাপ্ত নয়। তারা বলছেন, ডিমের দাম এখনো আকাশচুম্বী। ডিমের হালি এখনো তাদের সাধ্যের বাইরে।
সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি হালি লাল ডিম ৪৮-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিমের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্ন আয়ের লোকজন আগে বেশি ডিম কিনতেন। এখন তারা ডিম কেনা একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের চাহিদাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে চাহিদা না থাকায় তারাও দোকানে কম ডিম তুলছেন।


প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২ | সময়: ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ