বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারি ছিল জিয়া : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নুরুজ্জামান, বাঘা: রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনাকারি ছিল জিয়াউর রহমান। তিনি খন্দকার মোস্তাকের মতো কয়েকজন বেইমানকে ম্যানেজ করে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারকে নির্মম ভাবে ১৫ আগষ্টের কালো রাতে হত্যা করেছিল। আমরা এই দিন এবং মাসটিকে নানা কর্মসুুচর মধ্য দিয়ে পালন করতে চাই।
শনিবার বিকেলে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগর আয়োজনে শোক র‌্যালী, জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ও সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ওরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আরেকটি ১৫ আগষ্ট ঘটাতে চায়। কত বড় সাহস ওদের! আমরা রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং রেল রাইন উপড়ে ফেলা সন্ত্রাসী আবু সাইদ চাঁদের এলাকা চারঘাট উপজেলা সদরে গত কয়েকদিন আগে আ’লীগের সম্মেলন করেছি। সেখানে কয়েকজন আ’লীগের কেন্দ্র্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারা এ কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন, এতো বড় সম্মেলন কোন উপজেলায় এর আগে তারা দেখেননি।
আমি বিএনপির ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তোমরা বঙ্গবন্ধুকে মেরে ইতিহাস কলঙ্কিত করলেও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কিছুই করতে পারবে না। কারণ তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তোমরা শুধু-শুধু আ’লীগের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে আসবেন না। কারণ আমরা আদর্শ নিয়ে সংগঠন করি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা মাসব্যাপী শোক পালন করবো। তবে আজ প্রথম দিন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক, র‌্যালী ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এর শুভ সুচনা করলাম। আমরা আগামী ১৫ আগষ্ট বাঘায় এমন ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করবো যেটা অনেকের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এর আগে বক্তব্য দেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, বিএনপি স্লোগান দেয় ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো জেগে-জেগে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন। আপনাদের ভাগ্যে আরো কখনো ১৫ আগষ্ট কিংবা ২১ এ আগষ্ট আসবে না। আপনাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য এখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগই যথেষ্ট।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন নবাব, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি ফাতেমা মাসুদ লতাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
উপস্থিত ছিলেন, বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন, বাঘা মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা বিপাশা খাতুন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রবীন রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌর মহিলা আলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।


প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২ | সময়: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ